নড়াইলে নিখোঁজের ২১ দিন পর এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বান্ধবীর বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে নড়াইল সদর থানা পুলিশ।
ওই কিশোরী নড়াইল সদরের একটি স্কুল থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ সকালে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও সে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও
সন্ধান না পেয়ে শিক্ষার্থীর মা সদর থানায় সব তথ্য সংযুক্ত করে একটি
সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নড়াইল জেলা পুলিশের একাধিক টিম এসএসসি পরীক্ষার্থীর সন্ধানে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২১ দিন পর ঢাকা মেট্রোপলিটনের কদমতলী থানা এলাকায় শিক্ষার্থী অবস্থান শনাক্ত করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্বিক সহায়তায় নড়াইল সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আমির হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল জান্নাতি নামের এক মেয়ে
বান্ধবীর বাসা থেকে শুক্রবার ভোরে নিখোঁজ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাদিরা খাতুন বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজ জিডির পরপরই আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল সুস্থভাবে তাকে উদ্ধার
করা। জেলা পুলিশের একাধিক টিমের সমন্বিত প্রচেষ্টায় মেয়েটির অবস্থান শনাক্ত করে তাকে সুস্থ উদ্ধার করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন,ওই পরীক্ষার্থীকে মা ও ভাইদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারকে সতর্ক
করা হয়েছে তরুণীকে যেন বাল্যবিবাহ দেওয়া না হয়।
পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে ২১ দিন সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, মেয়েটির পরিবার কুয়েত প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে।
মেয়েটি পড়াশোনা করতে চায়, এই মুহূর্তে সে বিয়ে করবে না সেজন্য কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া তার ঢাকার বান্ধবীকে শনাক্ত করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।