শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
সকল টেলিভিশন চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘জুলাই অনির্বাণ’-শীর্ষক ভিডিওচিত্র প্রচারের উদ্যোগ আ.লীগ নিজেরাই নিজেদের পতন ডেকে এনেছে : জামায়াত আমির ব্রেক ফেল হয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে ২ কিঃমিঃ দূরে গিয়ে থামলো ট্রেন গণমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় সভা আয়োজনসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জনাব বাহারুল আলম নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের পরিচয় কালিগঞ্জে আছিয়া লুতফর প্রিপারেটরি স্কুলে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত সলেমান মামুন ব্যারিস্টার সুমন দুই দিনের রিমান্ডে ডিএমপির ৩৮তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

ধরাছোয়ার বাইরে স্বর্ণ চোরাচালানের মুলহোতা দোলন  

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩, ১১.০৩ এএম
  • ৬৭ বার পঠিত

মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার:  ধরাছোয়ার বাইরে স্বর্ণ চোরাচালানের মুল হোতা এনামুল হক খান দোলন। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাকারবারের তথ্য দিয়েছে দুবাই ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। নজরদারিতে রেখেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তলব করা হয় ব্যাংক হিসাব। গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। স্বর্ণ চোরাচালানের মূল হোতা এনামুল হক খান দোলন ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না স্বর্ণ পাচার। শুল্ক গোয়েন্দাদের কড়া নজরদারির মধ্যেও শুল্ক ফাকি দিয়ে আসছে স্বর্ণ। বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে। আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর হিসাবে চলতি বছরের তিনমাসে প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। চোরাচালানে জড়িত স্বর্ণ ব্যবসায়ী এনামুল হক খান দোলনকে দীর্ঘ দিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হলেও কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। যার ফলে তিনি স্বর্ণের চোরাচালানের অব্যাহত রেখেছেন। তার মালিকানাধীন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভার্স ও শারমিন জুয়েলার্সের আড়ালে তিনি স্বর্ণ পাচার সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। শুল্ক গোয়েন্দারা মাঝে মধ্যে চোরাচালানের স্বর্ণ জব্দ করছেন। বাহকদের তুলে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। মামলা হচ্ছে, তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু চোরাচালানের মূলহোতা এনামুল হক খান অধরাই থেকে যাচ্ছে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরদারিতে রয়েছেন স্বর্ণ চোরকারবারিদের  গড ফাদার দোলন।  কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সুত্র জানিয়েছে, এনামুল হক খান দোলন দুবাই এবং সিঙ্গাপুর সিন্ডিকেটের সহায়তায় দুবাই এবং সিঙ্গাপুর হতে বাংলাদেশে আগমানকারী বিভিন্ন যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকার দেশে পাঠান। এবং বিধি বর্হি:ভূত ভাবে মূল্য পরিশোধসহ বিদেশে অর্থ পাচার করেন। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে এনামুল হক খান দোলনের মানি লন্ডারিংয়ের সুনিদিষ্ট তথ্য দিয়েছে দুবাইয়ের ফিন্যান্সিয়াল ইল্টেলিজেন্স ইউনিট। তার বিরুদ্ধে দুবাই ভিত্তিক স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে দুবাইয়ের অর্থ পাচার প্রতিরোধ ইউনিট। চোরাচালানের রহস্য উন্মোচনের জন্য দোলনকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মজুদ সব স্বর্ণের হিসাব নিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গত বছরের ডিসেম্বরে এনামুল হক খান দোলন, তার স্ত্রী, পুত্র ও কন্যার ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত  যশোর, সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪৬ কেজি ৪৮৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মুল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছরে (২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত) অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৮৩ কেজি সোনা জব্দ করেন। জব্দ হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। এসব ঘটনায় হওয়া মামলায় ২৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের জুয়েলারি দোকানকে কেন্দ্র করে দোলন অবৈধ স্বর্ণালংকার ব্যবসার শাক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। চোরাকারবারের মাধ্যমে তিনি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট ছাড়াও তার ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের অর্থ রয়েছে। দোলনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের এনামুল হক দোলনের বিশাল বাংলো। পাঁচ তারকা মানের অভিজাত বাংলোটি খান বাড়ী হিসেবে পরিচিত। এই বাড়ি নির্মাণের জন্য যাবতীয় ফিটিংসহ গৃহসজ্জার উপকরণ আনা হয় দুবাই ও ইতালি থেকে। প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন তিনি অবৈধ কারবার চালিয়ে গেলেও এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দেশে-বিদেশে অন্তত অর্ধশতাধিক গডফাদার চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। এসব গডফাদারদের শনাক্ত ও পরিচয় বের করা হয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ও অনেক গডফাদার দেশের বাহিরে থাকার কারণে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। অবৈধভাবে স্বর্ণের টাকা দিয়ে অস্ত্র ও মাদক কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সুত্র। এসব বিষয়ে এনামুল হক খান দোলনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। নাম পরিচয় দিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
      1
23242526272829
30      
  12345
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com