এম এ মান্নান, চৌগাছা (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতাঃ যশোরের চৌগাছায় শ্বশুরের হাতে ইসমতারা খাতুন (২৯) নামে দুই সন্তানের জননী খুন হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের মুক্তদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সেলিম হোসেন বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যার সাথে জড়িত থাকায় শ্বশুর আনিছুর রহমানকে গ্রেফতার করেছেন চৌগাছা থানা পুলিশ। শনিবার (১ জুলাই) পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, চৌগাছা পৌরসভার বিশ্বাসপাড়ার মশিয়ার রহমানের মেয়ে ইসমতারার সাথে মুক্তদাহ গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মজনুর রহমানে ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে রাব্বি (১০) ও ছাব্বির (৩) দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন। তাকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মজনুর রহমান (৩২) ও শ্বাশুড়ী হালিমা বেগম (৫০) কে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়ছে। এ রিপোর্ট লেখা (বেকেল ৩ টা) পর্যন্ত তার চৌগাছা থানা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।
নিহতের চাচাত ভাই মাসুম রেজা জানান, ছোটখাট বিষয় নিয়ে বোনের শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে মারপিট করতেন। মেরে ফেলার হুমকিও দিতেন। এমনকি আপা মৃত্যুর আগে কয়েকবার জানিয়েছে, আমার যদি কিছু হয় তাহলে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি দায়ী থাকবে। ওরা আমার উপর অত্যাচার নির্যাতন করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মারপিটের পর শ্বাসরোাধে আপাকে হত্যা করে ঘরের মধ্যে ফেলে রাখে। রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে আমরা খবর পাই। আমরা গিয়ে দেখি ঘরের মধ্যে বোনের লাশ পড়ে রয়েছে। গলায় ও শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই ঘর থেকে রাত প্রায় ২ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন।
শনিবার (১ জুলাই) নিহতের ভাই সেলিম হোসেন বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) জিল্লাল হোসেন জানান, ইসমতারাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিক ধারণা করছি। তদন্ত চলছে তদন্তের পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।