১৯৬৬ হইতে ভোলা কলেজে ছাত্রলীগ কমিটির আমি একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলাম। ততকালীন সময় মহকুমার শহরে ছাত্রলীগ করা খুব কঠিন ছিল। স্কুলের ছেলেমেয়েরা ছাত্রলীগ বুঝতো না। আমি কোনো দিন কলেজ লাইফে কলেজে অনুপস্থিত থাকি নাই। ১৯৬৯ পর্যন্ত একনিষ্ঠ ভাবে ভোলা কলেজের ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। আমরাই প্রথম ১৯৬৯ সনে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে ভাষা আন্দোলনের মিছিল করি।বাংলা স্কুলের সামনে আমাদের মিছিল পৌছালে পুলিশ আমাদেরকে ভোলা থানায় ধরিয়া নিয়া যায়। আমাদেরকে রাত ১০ টায় ছাড়িয়া দিলেও মোতাহার এবং রাব্বানীকে ১০ দিন পরে জাবীনে মুক্তি দেয়। ১৯৬৯ সনে ১৭ই জুলাই আমি মিরপুর ১ নং সেকশন এ ব্লক,৩ নং রোডের ২১ নং বাড়ীতে বসবাস শুরু করি ১৯৭০ সন হইতে সিটি_ ল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে আমি ছিলাম। আমাদের নেতা ছিলেন বর্তমান জাতীয় পার্টির এম পি কাজী ফিরুজ উর রশিদ। ১৯৭০ সনের ডিসেম্বরে মিরপুর গুদারাঘাট নিবাসী জনাব গনি তালুকদার সাহেব আওয়ামীলীগের একটি সদস্য টিকেট আমাকে দিয়া সর্ব প্রথম আমাকে আওয়ামীলীগের সদস্য করেন। আমরা চার বাঙ্গালি ছেলে একত্রে আওয়ামীলীগের কাজ করতাম আমি জীবনের প্রথম ১৯৭০ সনে ভোটার হইয়া আওয়ামীলীগের নৌকায় ভোট দিয়াছি সেই থেকে অদ্যবদি আওয়ামীলীগের একজন কর্মী ও নেতা হিসেবে এলাকায় আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করিয়া আসতেছি ১৯৯৩ সন হইতে অদ্যবদী এক নং সেকশন ডি ব্লক ইউনিটের সভাপতি হিসাবে কাজ করিয়া আসিতেছি।ইতি মধ্যে ১৯৯৬ সনে ৮ নং ওয়ার্ড কমিটির দপ্তর সম্পাদক, শাহ আলী থানা কমিটির নির্বাহী সদস্য হিসাবে কাজ করিয়াছি।১৯৯০ এরসাদ বিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৯১ এবং ২০০৬ সনের আন্দোলন সহ বর্তমানের চলমান আন্দোলনের শহিত আমি যুক্ত থাকিয়া আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করিয়া আসিতেছি। আমার কোনো আত্মীয় স্বজন আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কোনো দল করে না। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান হিরন এবং কাদের খান আমার আত্মীয়। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি আওয়ামীলীগ আবারো সরকার গঠন করিবেন। আমাদের নেত্রী আগামীতে একটি গুড গভমেন্ট গঠনের মাধ্যমে বিশ্বে একটি সুন্দর দেশ বাংলাদেশ কে প্রতিষ্ঠিত করিবেন। আমি বাংলা দেশের একজন নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্ব করিতেছি। ঢাকাস্থ ভোলা জিলা সমিতির মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিরপুরে বসবাসরত সকল ভোলাবাসী কে নৌকায় ভোট দিয়া শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমি সকলকে অনুরোধ করিতেছি।
কলমেঃ হাজী মোসলেহ উদ্দিন মানিক।