অতি স্বল্প সময়ে অনুষ্ঠেয় ৪ লক্ষ ১০ হাজার ০৭২ জন ভোটার,১৩২ টি কেন্দ্র,৮৪৫ টি বুথের বিশাল এই নির্বাচনে ছোট খাট ক্রুটি বিচ্যুতি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এ জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিকে আমি স্বাগত জানাই। আমি আশা করি তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। “নির্বাচনে হেরে গিয়ে অনিয়মের অভিযোগের সংস্কৃতি থেকে আমাদের সকলকে বেরিয়ে আসতে হবে”।
এই নির্বাচনে RAB,বিজিবি,পুলিশ সহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা এবং ডিসি,এসপি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরব উপস্থিতি এবং ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলে ভোটাররা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন, ১৩২ কেন্দ্রেে মধ্যে একটি কেন্দ্রেও কোন গোলযোগ বা সহিংসতা হয়নি,কোন পক্ষের এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ কেউ করেননি,কোন কেন্দ্র বন্ধ হয়নি,একটা পটকা পর্যন্ত ফুটেনি। অথচ নির্বাচনের তিনদিন পর একজন প্রার্থীর অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা সরাইল – আশুগঞ্জবাসী তথা দেশবাসী নির্ধারণ করবেন।
উল্লেখ্য নির্বাচনে আমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জিয়াউল হক মৃধা সাহেবের বাড়ির পাশে কালিকচ্ছ পাঠাশালা কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ১১৬৮ ভোট অথচ নৌকা পেয়েছে মাত্র ৯১ ভোট,নোয়াগাও (পুর্ব) কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ১০০২ ভোট – নৌকা পেয়েছে ২৮০ ভোট,নোয়াগাও (পঃ) কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৯৫৯ ভোট – নৌকা পেয়েছে ১১৬ ভোট, তারাকান্দা কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ১০৭০ ভোট – নৌকা পেয়েছে ১৮২ ভোট,বিশুতারা কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ১০২১ ভোট নৌকা পেয়েছে ১৫৫ ভোট,সরাইল সদরের সৈয়দ,সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়াম কেন্দ্রে মৃধা সাহেব পেয়েছেন ৪৩৬ ভোট অথচ নৌকা পেয়েছে মাত্র ৭৪ ভোট,গুনারা কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৫৭৯ ভোট – নৌকা পেয়েছে মাত্র ৯২ ভোট। জনগণের ভোটের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মৃধা সাহেব কেন এত ভোট পেল এ নিয়ে আমি কোন প্রশ্ন তুলিনি। অথচ আমি যে সব কেন্দ্রে ভোট বেশি পেয়েছি সে সব কেন্দ্র নিয়ে মৃধা সাহেব প্রশ্ন তুলে তিনি মুলত ভোটারদের প্রতি অসম্মান জানিয়েছেন। ভোট বেশি পেলে নির্বাচন ঠিক আছে আর কম পেলে নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কলমেঃ অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু এমপি।
স