পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ পীরগঞ্জে এক ভূমিদস্যু কর্তৃক সরকারি রেকর্ডকৃত রাস্তার পার্শ্বে ৩৫ থেকে ৪০ ভিট গভীর করে স্যালোমেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় রাস্তা ভেঙ্গে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা কুমরসই করতোয়া নদীর পার্শ্বে।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সূত্রে জানা যায়, উপজেলা কোচার পাড়া গ্রামের মৃত মাজেদ মিয়ার পুত্র ভূমিদস্যু গোলাম মওলা কুমরসই করতোয়া নদীর নিকট হতে নসিমনপুর পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপনকারী রাস্তাার পার্শ্বে মাত্র ১ একর জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত ঐ জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ ফিট গভীর করে স্যালোমেশিন দ্বারা গভীর করে বালু উত্তোলন করছেন। ফলে আশ পাশের চার-পাঁচজন কৃষকের প্রায় ৫ থেকে ৬ একর জমি ভেঙ্গে পড়ে বিশাল একটি জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকগণ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য বাধা দিতে গিয়ে অনেক লাঞ্চিত হয়েছেন। ভূমিদস্যু মওলা একাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেহ কথা বলার সাহস পায় না। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা পীরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরেজ চন্দ্র বালু উত্তোলনকারী মেশিনটি জব্দ করে মামলা দায়ের করেন। কিছুদিন বালু উৎত্তোলন বন্ধ রাখলেও অজ্ঞাত কারণে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করেন এর ফলে সরকারি রেকর্ডকৃত রাস্তাাটি ভেঙ্গে জলাশয়ে পরিণত হয়। এরপর এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বিষয়টি লিখিত ভাবে অবগত করলে তার নির্দেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সঞ্জয় কুমার মহন্ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী স্যালোমেশিনটি জব্দ করেন এবং তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ভূমিদস্যু মওলা আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর রাস্তার পার্শ্বে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সরেজমিনে দেখতে গিয়ে দেখা যায় যে, কুমরসই হইতে নসিমনপুর পর্যন্ত রাস্তাাটি ভেঙ্গে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। গত ২ জুলাই এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সঞ্জয় কুমার মহন্তের নিকট রেকডকৃত রাস্তাটি পুনরায় নির্মাণসহ ভুমিদস্যু গোলাম মওলাকে গ্রেফতার পূর্বক অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী মেশিনটি জব্দ করার জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এব্যাপারে অভিজ্ঞ মহল জরুরী পদক্ষেপ নিয়ে সরকারি রেকর্ডকৃত রাস্তা উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।