ইমরান খানকে ঠেকাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখা হয়নি। ১০ মাস ধরে কারাবন্দি। চার মামলায় ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ। তার দল পিটিআইকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে ইমরান সমর্থিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করলেন। সেখানেও বাধা। প্রার্থীদের নির্বাচনী সভা করতে দেওয়া হয়নি, তাদের হামলা-মামলা দিয়ে করা হয়েছে দমনপীড়ন। এত কিছুর পরও মানুষ তাদের রায় দিয়েছেন। আর সে জনরায় ইমরানের পক্ষে। ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যা করে দেখালেন তা এককথায় তা অবিশ্বাস্য, দুর্দান্ত! ইতিহাস তো বটেই।
নির্বাচনের দুদিন পার হলেও এখনো সব আসনের ফল ঘোষণা করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইসিপি। এখন পর্যন্ত ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এখনো ১৫টি আসনের ফল ঘোষণা বাকি। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৯টি আসন। তাদের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ৯১ জন। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭১টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫৩টি আসন এবং অন্যরা পেয়েছে ২৭টি আসন।