পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী
বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদিন পলাশ ও বেল গাছের দুটি চারা রোপণের মাধ্যমে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিরও শুভ উদ্বোধন করবেন।মঙ্গলবার ‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা; অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং ‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৪ উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ মোশাররফ হোসেন; অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সহ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী জানান, শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিতব্য পরিবেশ মেলা চলবে ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ৫ থেকে ১৩ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ০৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০২৩ ও ২০২৪, জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৩, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২২ ও ২০২৩ এবং সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে।
মন্ত্রী জানান, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে শিশু চিত্রাঙ্কন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজনে করা হবে। এ উপলক্ষ্যে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।
সাবের চৌধুরী পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভূমির অবক্ষয় রোধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করে বলেন, ভূমি অবক্ষয় কমিয়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প যেমন টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করছে। ইটভাটায় টপ সয়েলের ব্যবহার কমাতে সরকারি নির্মাণ কাজে ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে অক্টোবর, ২০২০ হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৩০ হাজার একর বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হয়েছে এবং বনায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পূনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ২০০৯-২০১০ হতে ২০২২-২৩ আর্থিক সাল পর্যন্ত মোট ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৪০২ হেক্টর ব্লক এবং ৩০ হাজার ২৫২ সিডলিং কি.মি. স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ১১ কোটি ২১ লক্ষ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। এ বছর বর্ষা মৌসুমে সারাদেশে ৮ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার চারা রোপণ করা হবে।
আগামী ৫ জুন বুধবার থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে অনুষ্ঠিতব্য পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলায় অংশগ্রহণের জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।