পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় ঘুমন্ত দুই কিশোরী ও এক নারীকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামে নির্মম এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার ভূক্তভোগীরা হলেন- ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদারের স্ত্রী জেসমিন বেগম (৪৫), মেয়ে ইয়ানা (১১) এবং তাদের আত্মীয় জুয়েনা (১২)।
স্বজনরা জানায়, জেসমিনের স্বামী মাছ ধরতে তিন দিন আগে সাগরে গিয়েছে। রাতে মেয়ে ইয়ানা ও এক আত্মীয়ের মেয়ে জুয়েনাকে নিয়ে ঘরে থাকতেন জেসমিন। বুধবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা তিনজন। এরপর সকালে রক্তাক্ত জুয়েনা দরজা খুলে ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনজনেরই মুখমণ্ডলে মারাত্মকভাবে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তবে ভূক্তভোগীর ঘরের মাটির মেঝেতে রহস্যজনকভাবে সিঁদকাটার চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া ঘরে থাকা একটি আমলারি ভাঙার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া আক্রান্ত তিন জনের শরীরে স্বর্ণালঙ্কার থাকলেও সেগুলোর কিছুই নেয়নি হামলাকারীরা। তবে জেসমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে গেছে তারা।
স্থানীয়রা জানায়, জেসমিন এবং তার পরিবারের সদস্যরা সবাই ধার্মিক প্রকৃতির। তাই জেসমিন বাহিরের মানুষের সাথে বিনা প্রয়োজনে দেখা দিতেন না। এমনকি তাদের প্রকাশ্য কোন শত্রুও নাই।
ভক্সপপ: ভুক্তভোগীদের স্বজন।
তবে এখন পর্যন্ত হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কিংবা হামলার কারনও উদঘাটন হয়নি। তবে ঘটনা তদন্তে পুলিশ মাঠে কাজ করছে বলে জানান ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
সিংক: মোঃ মারুফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইন্দুরকানী, পিরোজপুর।