সাইদুর রহমান রিমন।। বহু অপকর্মের নায়ক, সাংবাদিক হয়রানিকারী জয়দেবপুর থানার বিতর্কিত ওসি আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অপহৃত ব্যবসায়িকে উদ্ধারের পরিবর্তে উলটো প্রতারণার মামলায় জেলহাজতে পাঠানোর ঘটনাটি আমলে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়াও ওসি আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আরো দুটি অপরাধ ঘটনায় জড়িত থাকা অভিযোগের ব্যাপারেও রবিবার থেকেই তদন্তে নামছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থেকে আব্দুল মান্নান সরকার ওরফে মোন্নাফ নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে গাজীপুরে নিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম অপহরণকারীদের সাহায্য করেন বলে ব্যবসায়ীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন। অপহরণের শিকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আব্দুল মান্নান সরকার ওরফে মোন্নাফ (৫৪) সলঙ্গা থানার শ্রীরামের পাড়ার বাসিন্দা। গত ৭ ডিসেম্বর ভোরে মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ওরফে মোন্নাফকে প্রতিপক্ষে লোকজন কালো একটি মাক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে তাঁর ভাই মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় মামলা করেন। এতে একই থানার শ্রীরামের পাড়া গ্রামে মো. আমজাদ সরকার, মো. এরশাদুল ইসলাম, মো. আবু তালেব, মো. আব্দুল মালেক, মো. আবু সুফিয়ানসহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে সলঙ্গা থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার না করে মিথ্যা প্রতরনা মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরন করেন করায় অপহৃত ব্যক্তি আব্দুল মান্নান ওরফে মোন্নাফের ভাই মাবুবুল আলম ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য গত ১১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,আইজিপি, ঢাকা রেন্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার গাজীপুর, পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জ বারাবর আবেদন করেন।
পরে ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা রেন্জ পুলিশ অফিস থেকে বিষয়টি নিয়ে গাজীপুর পুলিশ সুপারকে তদন্তের নিদের্শন প্রদান করেন। পর্বতীর্তে গত ২২ জানুয়ারী গাজীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আমিনুল ইসলাম তদন্ত শুরু করেছেন। অপহৃত আব্দুল মান্নান সরকার ওরফে মোন্নাফ সরকারের ভাই মাহবুবুল আলমসহ অন্যান্যদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন।