মোঃ আরাফাত আলী: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আওয়ামী দোসর হিসেবে অভিযোগ উঠার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নওগাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক গোলাম রাব্বানী।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ৮টায় শহরের কাচারি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী, এবং দীর্ঘদিন ধরে নিজ কর্মের মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখার চেষ্টা করে আসছি। আপনারা অবগত আছেন যে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে ব্যবসায়ীদের উপর নানা ধরনের অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হতো। বাধ্যতামূলকভাবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা এবং অর্থ অনুদান দিতে বাধ্য করা হতো। ব্যবসা নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনার জন্য তাদের নানা অন্যায় আবদার মেনে নিতে বাধ্য করা হতো। তবে, আমার প্রতি বারবার চাপ প্রয়োগ করা হলেও আমি কখনো আওয়ামী লীগের কোনো পদ গ্রহণ করিনি বা সক্রিয়ভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হইনি।
তিনি বলেন, আমি ২০২১ সাল থেকে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম। যেহেতু তখন গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছিল না, তাই আমি তাদের ব্যানারে কোনো নির্বাচন করতে পারিনি। কিন্তু যখন আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেই, তখনই ক্ষমতাসীনরা আমাকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে নির্বাচন করতে জোরপূর্বক চাপ প্রয়োগ করে। এমনকি আমার অনুমতি ছাড়াই আমার নামে আওয়ামী লীগের পোস্টার ছাপিয়ে বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দেয়। কিন্তু আমি কোনো চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করি, যদিও এ সময় আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয়।
রাজনীতিতে আমার অবদান ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে আমাকে গণঅধিকার পরিষদের নওগাঁ জেলা আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়। তবে, দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার চালাতে থাকে। আমি এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গোলাম রাব্বানী আরও বলেন, আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আমি ন্যায়সঙ্গত রাজনীতি ও জনগণের অধিকার আদায়ের পক্ষে আছি এবং থাকব। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বা অপপ্রচারে আমি বিচলিত নই। আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই এবং ন্যায়ের পক্ষে অবিচল থাকতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
.
.