
শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ১২ ইস্ট বেংগল)
নম্বর ৩৯৮০৫৮১ শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২ ইস্ট বেঙ্গল (দি স্ট্রাইকিং টুয়েলভ) এর সাথে ১৯৮৮ সালে জুরাছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ তারিখে সকাল ১০১৫ ঘটিকায় জুরাছড়ি জোনের অন্তর্গত মদইন্যাপাড়া ক্যাম্প হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে মেজর শহীদ আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বের হয়। অত্যন্ত সাহসী সেনাসদস্য হিসেবে সুপরিচিত ল্যান্স নায়েক আবেদ টহল দলের এক নম্বর স্কাউটের ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্গম পাহাড়ে ঘন অরণ্যে টহল চলাকালীন আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় টহল দল শান্তি বাহিনীর অ্যামবুশে পতিত হয়। শান্তি বাহিনীর স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিবর্ষণে ল্যান্স নায়েক আবেদ গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি বীরদর্পে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে তাঁর এসএমজি থেকে গুলি বর্ষণ করতে থাকেন। প্রায় ১৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণের পর শান্তি বাহিনীর গ্রেনেডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মর্মান্তিকভাবে আহত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি বাহিনীকে প্রাণপণে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করে।