সরেজমিনে, দিঘিরপাড় বাজারের বিল্লাল বেকারী, আলী বেকারী, সূবর্না বেকারী, সুধির ঘোস ও সুবাস ঘোসের মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা যায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরী হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। পুরো দোকান জুড়ে যেন মাছিদের রাজত্ব। তৈরী খাদ্য সামগ্রীর চারপাশ জুড়ে বসে আছে অসংখ্য মাছি ।ধু তাই নয় সুধির ঘোসের মিস্টি তৈরীর কারাখানায় দেখা যায় মিষ্টি তৈরীর শিরার মধ্যে বেশ কিছু মাছি মরে ভেসে রয়েছে আর সেই শিরার মধ্যে ওই দোকানের শ্রমিক মিষ্টি তৈরী করছে। সুধির ঘোসের কর্মচারী দিলিপঘোস জানান, মিষ্টি তৈরীর কারখানায় মাছি থাকবেই।সুবাস ঘোসের মিষ্টির দোকানে ছানা তৈরী করছে শ্রমিকরা। ছানার মধ্যে অসংখ্য মাছি বসে রয়েছে। বিল্লাল বেকারী ও আলী বেকারীর ভিতরে ঢুকে দেখা যায় ওই বেকারীগুলোতে শ্রমিকরা হাতে কোন গ্লাবস ব্যাবহার না করেই খালি গায়ে খাদ্য তৈরী করছেন। শ্রমিকদের শরীর হতে ঘাম খাদ্যের মধ্যে পরছে। পুরো বেকারী দুটি যেন মাছিদের অভয়অরণ্য। এ ব্যাপারে বিল্লাল বেকারীর মালিক বিল্লাল এর সাথে কথা হলে সে জানায় লাইসেন্স নিয়েই আমরা খাদ্য তৈরী করছি। প্রতিসপ্তাহে আমাদের বেকারীতে পরিদর্শনে লোক এসে দেখে যায় এবং ৫ শত করে টাকা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্যানিটেশন অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আমি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য বারবার তাগিদ দিয়ে আসছি এবং তাদের গায়ে পরিচ্ছন্ন পোষাক পরে খাদ্য তৈরী করতে বলেছি।