নাছরুল্লাহ আল কাফী,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা এ জাতির গর্ব, এ জাতির গৌঁরব, এ জাতির অহংকার। মুক্তিযুদ্ধ দ্বিতীয়বার আসবেনা, অনেকের লক্ষ কোটি টাকা হতে পারে, মন্ত্রী হতে পারে, এমপি হতে পারে, প্রধানমন্ত্রী হতে পারে, রাষ্ট্রপতি হতে পারে কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির বীর সন্তান; এই গর্বের জায়গাটা কেউ স্পর্শ করতে পারবেনা, এমন একটি অনন্য উচ্চতায় আপনারা অধীষ্টিত আছেন; আপনাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যত প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেয়া প্রয়োজন সেগুলো দিয়ে যাচ্ছেন, তার লক্ষ রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, তার সন্তান এমনকি তাদের উত্তরশুরীরাও যাতে রাষ্ট্রের সকল সুবিধা পেতে পারেন সেজন্য সবকিছু তিনি নিশ্চিত করবেন। ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম ও মূল্যবান সম্পদ ইজ্জত বিলিয়ে দেবার মধ্য দিয়ে লাল-সবুজের এই বাংলাদেশকে আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি, তাই তাদেরকে বিনর্ম শ্রদ্ধাভরে স্মরন করছি । তিনি আজ রবিবার পিরোজপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে বহমান, বঙ্গবন্ধুর ডাকে যারা মুক্তিযুদ্ধে সাড়া দিয়েছিলেন, তাদেরকে এ জাতীয় উজার ভালবাসা, অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা করা কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পারেন, অন্য কেউ নয়।
পিরোজপুর গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠের স্বাধীনতা মঞ্চে এসময় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। এসময় সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক নাহিদ ফারজানা ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান মালেক, আওয়ামীলীগৈর সাধারন সম্পাদক এমএ হাকিম হাওলাদারসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনজন বিশেষ প্রবীন মুক্তিযোদ্ধাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেষ্ট বিতরন করেন মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর মুক্তদিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে, পুষ্পমাল্য অর্পণ র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদ ভাগিরথী চত্বরে নির্মিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পূষ্পমাল্য অর্পন, বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব, নবনির্মিত স্বাধীনতা মঞ্চ উদ্বোধন এবং জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি শ.ম রেজাউল করিম ও শেখ এ্যানী রহমান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাহিদ ফারজানা ছিদ্দিকী, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, আওয়ামীলীগৈর সাধারন সম্পাদক এমএ হাকিম হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত শহরের পূরাতন ডিসি অফিস সংলগ্ন কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ১ জানুয়ারি ২০২০ শিক্ষা কার্যক্রম ও ভবনের উদ্বোধন করেন।