মোঃ মনির হোসেন শাহীন মিয়া :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা মো. মোসলেম উদ্দিন মৃধার দুই নামে বানানো তার দুটি জাতীয় পরিচয় পত্রে দুই রকম নাম ও জন্ম তারিখ থাকার ঘটনায় অবশেষে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার পাঠানো এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচন কমিশনে (পিএসএমএস) ওই চিঠি পাঠানো হয়।
নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অতিরিক্তি দায়িত্বে থাকা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল হোসেন সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির নেতা মোসলেম উদ্দিন মৃধা তার নাম পরিচয় বয়স ও ঠিকানা জালিয়াতি করে বিগত আট বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন, এমন অভিযোগ এনে গত ৬ ডিসেম্বর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুকসুদ আলী খান। এ নিয়ে পরদিন ‘কার্ড-জালিয়াত’ মুক্তিযোদ্ধা এবং এক মুক্তিযোদ্ধার দুটি পরিচয় পত্র
শিরোনামে দি ডেইলি অবজারভার সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে নবীনগরের সর্বত্র আলোচনার ঝড় ওঠে। পরে নবীনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এই অবস্থায় অভিযুক্ত মোসলেম উদ্দিন মৃধার ছবিযুক্ত দুটি জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম ও জন্ম তারিখ ভিন্ন হওয়ায় ওই দুটি জাতীয় পরিচয় পত্রের কোনটি বৈধ, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত জানাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চিঠি দেয় উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা।
সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি পাঠায় উপজেলা প্রশাসন।
এই বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অতিরিক্তি দায়িত্বে থাকা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল হোসেন আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমাজ সেবা কর্মকর্তার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আজই (বুধবার) আমি নির্বাচন কমিশনে কোনটি বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র, সেটি জানতে একটি চিঠি (পিএসএমএস) পাঠিয়েছি।
এই চিঠির উত্তর পাওয়ার পরই আমরা আমাদের চুরান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।