ঢাকা রোববার ৯ ফেব্রূয়ারি ২০২০: আমি হেরে গেলাম। অপশক্তিরাই জয়ী হলো। শেষ পযর্যন্ত ওরা আমার স্বামীকে মাদক মামলায় ফাঁসালো। ইতিপূর্বে ওরা আমার স্বামিসহ আমাকেও তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় আসামি করেছিল।
ইভা বিএমএসএফকে জানিয়েছে, গতকাল জেলগেটে টিকিট কেটেও কথা বলতে দেয়নি রিমান্ড চাইবে বলে। এক পুলিশের মাধ্যমে খবর নিয়েছে রানার। তার কাছে বলছে আমাকে ফাঁসিয়েছে। মামলার এক আসামি তথ্যপ্রযুক্তি মামলার বাদির বাসার ভাড়াটিয়া। তার মাধ্যমে পুলিশকে ম্যানেজ করে পুরো নাটকটি সাজানো হয়েছে বলে দাবি ইভার।
ইভা জানতে পেরেছেন, ঘটনার রাতে রানা বাসার পথেই আসছিলো। পথিমধ্যে একটি প্রাইভেট কার তাকে উঠিয়ে নেয়। নিয়ে প্রথমে বেনাপোল যায়। চেয়েছিলো ভারত ঢুকবে কিন্তু বিজিবির কারনে যেতে পারেনি। এরপর আসে যশোর। ওখানে থাকা কালীন ফোন অন ছিলো আমি বারবার ফোন দেয়ায় ওখান থেকে ওরা নোয়াপাড়া আসে তখন সময় রাত ৯টা। এরপর আর তার আর কিছু মনে নেই৷ পুলিশ তার মাথায় ও শরীরে আঘাত করে। ছবি তোলে আর বলতে থাকে মাদক ব্যবসায়ী শেখ রানা আটক। সাথের দুজনের একজন আসামি রানাকে চিনতো। উনি ওদিন ওই গাড়িতে ছিলো এবং গত পরশু সকালে উনি ফোন দিয়েছিলো রানাকে। হায় হ্যালো কথা বলতেও দিয়েছিলো। কি কথা হয়েছিল রেকর্ড রয়েছে। একমাত্র শিশুপুত্র ইফতিকে নিয়র চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ইভা।
ইভা বলেছে কল রেকর্ড বের করলে সব জানা যাবে। রানার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ। বারবার বলছে বাচব না৷ আর আমার কিছু বলার নেই।
এদিকে ঘটনায় রোববার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, এভাবে পুলিশ কর্তৃক একজন সাংবাদিককে হয়রাণীর কোন অর্থ আমরা বুঝে ওঠতে পারছিনা। সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একশ্রেনীর পুলিশ সাংবাদিকদের মানসম্মান নষ্টে মরিয়া। এই অবস্থা চলতে থাকলে সাংবাদিক-পুলিশ দুই মেরুতে পরিনত হব। ঘটনার সম্পৃক্তা যাচাইয়ের জন্য সাংবাদিক শেখ রানাসহ অপর আসামিদের ফোনকল রেকর্ড তদন্তের দাবি জানায় বিএমএসএফ।পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকরা হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এসকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সকল গণমাধ্যমকর্মীকে সজাগ ও স্বোচ্চার থাকারও আহবান জানায় বিএমএসএফ।