ভোলার বোরহানউদ্দিনে কাবিনের টাকা নিয়ে বাণিজ্য করে কে এই নববধূ মনি?
কাবিনের টাকা নিয়ে রমরমা বাণিজ্য। কনের নাম: জুলেখা আক্তার মনি। তার পিতার নাম: বসার কাজী। বাড়ির নাম: ছোট-মানিকা কাজি বাড়ি। থানা: বোরহানউদ্দিন। জেলা: ভোলা।
বিগত ৭-মাস আগে একই উপজেলার বোরহানউদ্দিন থানাধীন ৪নং-কাচিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হাসনাইন হাওলাদার (জিতু) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জুলেখা আক্তার মনির। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে মনি তার স্বামীর বাড়ি থেকে তার মামার সাথে বেড়ানোর কথা বলে আনুমানিক ৫-লক্ষ টাকার গহনা নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়।
চলে যাওয়ার পর সে তার স্বামীকে ১২ লক্ষ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা না দিলে সে আর আসবে না বলে জানিয়ে দেয় এবং তার স্বামী, শ্বশুড়-শাশুড়ীসহ ওই পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে নারী নির্যাতন মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।
এমতাবস্থায় তার স্বামী দুই-মাস পর তাদের বাড়িতে উকিল নোটিশ পাঠায়। পরবর্তীতে মনি তার স্বামীকে ফোনে বলে যদি তার কথা মত টাকা না দিয়ে আইনগতভাবে তাকে আনার চেষ্টা করে তাহলে সে তার বাবা-মাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলবে।
এমতাবস্থায় তার স্বামী ভোলা কোর্টে একটি মামলা করে। মামলার কথা শুনে মেয়ের বাবা ছেলের বাবাকে ফোন দেয় কাবিনের টাকাসহ ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য। তখন ছেলের বাবা মেয়ের বাবার এই প্রস্তাবে রাজি না হলে মেয়ে সেই মামলার জামিন নেয়। গত জানুয়ারীর ১৫ তারিখ এবং সে ২২ তারিখে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে থানাতে একটি মিথ্যা মামলা করে এবং স্বামী হাসনাইন হাওলাদার (জিতু)-কে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে এনে জেলে পাঠিয়ে দেয়।
তখন ছেলে পরিবার তাদের সাথে কথা বলে এটা সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়ে পক্ষ সেটা সমাধান না করে উল্টো তারা ১০-লক্ষ টাকার চাপ সৃষ্টি করে এবং বলে সেই টাকা না দিলে তাদেরকে আরো মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে। এরপর ছেলের পরিবারকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিতে থাকে।
মানিকার হাট এবং মেয়ের এলাকায় খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, ‘এই মনির সাথে একাধিক ছেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। মনির বড় বোনও স্বামীর অজান্তে একই ধরণের অবৈধ সম্পর্ক করে চলছে। মনির বড় বোন ২০০৮ সালে তছির নামের মানিকার হাট হাইস্কুলের এক ছাত্রের সাথে প্রথমে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর ২০১০ সালে ওই তছিরের সাথেই অবৈধ সম্পর্ক করে মনি। শুধু তাই নয় এই মনি আরো একাধিক ছেলের সাথে এভাবেই প্রেমের নামে প্রতারণা করে আসছিলো। মনির পরিবার তাকে দিয়ে এভাবে অনেক টাকা আদায় করেছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।