রেজাউল ইসলাম : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ছোট শৌলা দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার পদে নিয়ম পরিপন্থী নিয়োগের বিষয় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ২৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার প্রতিষ্ঠান কার্যালয় উপস্থিত হয়ে অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত সকল অনিয়ম ও মাদ্রাসাটির বেহাল অবস্থা দেখে চরম ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন। সহকারি সুপার পদে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তৈয়বুর রহমান নিয়োগ দেন। সহকারি সুপার মাওঃ গফ্ফার সুপারের স্ত্রীর বড় ভাই ও সভাপতির সম্পর্কে ভগ্নি জামাতা ওই এলাকার জুয়েল হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনা তদন্ত কালীন স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা ও জুয়েল তদন্তকারী কর্মকতাকে জানান, মঠবাড়িয়ার তৎকালীন দূর্নীতিবাজ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান ও পিরোজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার ব্যক্তিগত লাভবান হয়ে স্থানীয় এম,পি ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী এ অবৈধ নিয়োগ তাদের না দেয়ার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা এ নিয়োগ কাজ সম্পাদন করেন। তদন্ত অফিসার নিয়োগে পরীক্ষা কালীন প্রশ্নপত্র ও লিখিত খাতার সাথে ফাইল করা থাকার নিয়ম থাকলেও সুপার তা দেখাতে সক্ষম হননি। লাভলু তালুকদার জানান, প্রতিষ্ঠানে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রী না থাকায় অফিসারকে খুশি করার জন্য বহিরাগত শিক্ষার্থীদের দেখানো হচ্ছে। তা ছাড়া সভাপতি ও সুপারের নিয়োগে আত্মীয় করণের কারণে প্রতিষ্ঠানটি অদক্ষ্য লোকের পরিচালনায় একদিন হয়ত বিলিন হয়ে যাবে। পরিদর্শক ড.আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগে অনিয়ম সহ ব্যাপক দূর্নীতি পেয়েছি। যা আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত আকারে পেশ করব।