লিয়াকত হোসেন, রাজশাহীঃ রাজশাহী পবা উপজেলার শ্যামপুর ঘাট থেকে পদ্মা থেকে উদ্ধার করা হয় নববধূ সুইটি খাতুন পুর্ণিকে তখন সবই ঠিকঠাক। হাতে মেহেদি, গায়ে গহনা, পরনে লাল বেনারসি। শুধু দেহটায় নিথর পরে আছে। সোমবার সকাল ৭ টার দিকে পবা উপজেলার শ্যামপুর ঘাট থেকে নববধূর পুর্ণির লাশ উদ্ধার করে জেলেরা।
পূর্ব ঘটনার বর্ণনা পদ্মার মাঝ নদীতে নৌকাডুবি হওয়ার পর অন্য নৌকায় বাড়িতে ফেরা এক মাস বয়সী নারী ও যুবক জানান, তারা যে নৌকায় ছিল সে নৌকাটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেটি দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। এরপর পানি ঢুকতে শুরু করে নৌকাটিতে। আর আরেকটি নৌকা কিভাবে ডুবেছে তা তিনি জানাতে পারেননি। কতজন যাত্রী ছিল এ বিষয়ে তারা জানায় দুই নৌকা মিলে মোট জন যাত্রী ছিল আনুমানিক ৩২জন। এরমধ্যে ১৩ জন উদ্ধার হয়েছে।
বরের নাম রুমন আলী (২৬)। তার বাড়ি পদ্মার ওপারে পবা উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামে। বাবার নাম ইনসার আলী। আর কনের নাম সুইটি খাতুন (২০)। তার বাড়ি রাজশাহী শহর সংলগ্ন পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামে। বাবার নাম শাহীন আলী।
বৃহস্পতিবার রুমন-সুইটির বিয়ে হয়। শুক্রবার দুপুরের দিকে সুইটির আত্মীয়-স্বজনরা বর-কনেকে আনতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে মাঝ পদ্মায় নৌকা ডুবে যায়। ঘটনার পর বর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। এছাড়া দুই পরিবারের পাঁচজনসহ আরও ছয়জন উদ্ধার হয়েছেন। তারা হলেন খাদিমুল ইসলাম (২৩), রতন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২২), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬)।