ঢাকা বুধবার ২৫ মার্চ ২০২০: মহামারী করোনা মোকাবেলায় দেশের প্রিন্ট পত্রিকাগুলোকে বন্ধ রেখে অনলাইন সংস্করণের আওতায় আনার দাবি করা হয়েছে। যেখানে পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপনও অনলাইন ভার্সনে চালু রাখতে পারবেন। করোনা ভাইরাস এড়াতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে সরকার ও গণমাধ্যমের নিকট এমন দাবি করা হয়েছে।
বুধবার বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, এমননিতেই করোনার ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে। কোনভাবেই বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত নয়। কাগজের মাধ্যমেও করোনার ভাইরাস ছড়াতে পারে। দৈনন্দিন দেশে লাখলাখ পত্রিকা মানুষের হাতবদল হয়। পত্রিকার মাধ্যমেও কোন না কোন ভাবে ভাইরাস ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এ ছোঁয়াচে ভাইরাসটি নানা ভাবে বিস্তার ঘটছে। তবে পেপার পত্রিকার মাধ্যমেও এর বিস্তার ঘটতে পারে। দৈনিক লাখ লাখ পত্রিকা বিভিন্ন জনের হাতঘুরে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে থাকে। সেক্ষেত্রে ঐ গ্রাহকও নিরাপদ নয়। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা পত্রিকা রাখাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ অবস্থায় দেশের পত্রিকাগুলোকে আপাদত করোনা ঝুঁকিকালীন সময়ে প্রিন্ট সংস্করণ বন্ধ রেখে অনলাইন সংস্করণ চালুর দাবি করা হচ্ছে।
প্রিন্ট পত্রিকা বন্ধ হলে বিশ্বব্যাপী করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় দেশের গণমাধ্যম সমুহে কর্মরত সাংবাদিক, অফিস কর্মকতা-কর্মচারী, প্রেসের কর্মচারীরাও ছুটি পেতো। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামিকাল ২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের ছুটিতে থাকছে বাংলাদেশ। তবে গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্টদের কোন ছুটি নেই। তারা অনিরাপদ উপায়ে সংবাদ সংগ্রহ এবং পত্রিকা প্রিন্টের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে গোটা দেশ লকডাউন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন সেখানে মিডিয়া পাড়া এখনও সরগরম।
এদিকে বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা পোশাক প্রদানের জন্য সরকারের নিকট দাবি করা হয়েছে। সংবাদকর্মীরা অনিরাপদ অবস্থায় তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চলছেন। বিষয়টি সরকারকে বিবেচনায় আনার আহবান জানানো হয়েছে।