উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ জমির ওপর দিয়ে পানির পাইপ নেবার অপরাধে হালিমা বেগম ও তার মাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। কালিয়া উপজেলার নোয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যপারে থানায় মামলা করায় তাকে প্রাণ নাশের হুমকী দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, স্থানীয়রা জানান, গ্রামের মৃত নুর মিয়া মোল্লার ছেলেদের সঙ্গে শরীকের জমিজমা নিয়ে হালিমা বেগমের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে প্রায়ই দ্বন্দ্ব লেগে থাকে। কয়েকবার বৈঠক্ও হয়েছে। কিন্তু দ্বন্দ্ব মেটানো যায়নি।
শুক্রবার সকালে হালিমা বেগম তার জমিতে পানি দেবার জন্য নুরু মিয়ার ছেলে ইরান মোল্লা, তাহিদুর মোল্লার জমির ওপর দিয়ে পানির পাইপ নেয়। এই অপরাধে ইরান মোল্লা,তাহিদ মোল্লা ও তাদের বোন খাদিজা বেগম লাঠি দিয়ে হালিমা ও তার মাকে পিটিয়ে আহত করে। ঠেকাতে গিয়ে মা লতিফা বেগমকেও গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা হয়। মামলা করার অপরাধে ইরান মোল্লা ও তাহিদ মোল্লা হালিমাকে আরেকবার পেটায়। মামলা তুলে নেবার জন্য তাদের কাছে থাকা শর্টগান দিয়ে গুলি করার হুমকী দেয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে উভয়ের বাড়ি পাশাপাশি। এলাকার ২২জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ইরান মোল্লা ঢাকার একটি কোম্পানীতে সিকিউরিটির গার্ডের চাকরি করে। তার নামে একটি শর্টগান আছে। এলাকায় সে এই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অনেক অপরাধমুলক কাজ করে থাকে। এলাকার মানুষের দাবি ইরান মোল্লার কাছে থাকা গানটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। প্রতিবেশি আজাদ শেখ বলেন,এদের কিছু বললে শর্টগান বের করে গুলি করার ভয় দেখায়। জিয়াউরি মোল্লা এবং মিলন শেখ বলেন,ইরান এবং তাহির দুই ভাই মিলে হালিমাকে গরুর মত পেটাচ্ছিল। ঠেকাতে গেলে আমিও লাঞ্চিত হই। খাজা মোল্লা বলেন,মেয়ে মানুষের গায়ে হাত দেওয়া অন্যায়। ওদের বিচার হ্ওয়া উচিৎ।
ইরান মোল্লার বাড়িতে গেলে তাকে প্ওায়া যায়নি। ভাইজি সাদিয়া জানায় কেউ বাড়িতে নেই। বোর্ড ইউনিয়ন পরিষদ) অফিসে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তাদের প্ওায়া যায়নি।
মুঠোফোনে((০১৯৭১৫১৭০৪৩) জানতে চাইলে ইরান মোল্লা মারপিটের কথা স্বীকার করে বলেন, ওরাও আমাদের মারধর করেছে। শটগানের কথা জানতে চাইলে বলেন, আমাদের নামে লাইসেন্স আছে। নিরাপত্তার জন্য নিয়েছিলাম।নড়াইলের কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রফিকুজ্জামান বলেন,থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।