কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় বিতর্কিতদের দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি গঠন করায় বিক্ষুব্ধ শতশত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হামলা, মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ত্যাগী ও নেতা কর্মীদের অবমূল্যায়ন করলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন বিক্ষুব্ধরা।জানাগেছে, উপজেলাধীন ৭নং তারালী ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠিত হওয়ার দিন রাতেই উপজেলা ব্যাপী ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় নেতা কর্মী ও মাঠ পর্যায়ের সর্বাধিক কর্মীদের দাবি তারালী ইউনিয়ন বিএনপি’র ঘোষিত আহবায়ক কমিটিতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ও কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোটর ডানহাত, আওয়ামীলীগের দোসর মোঃ এনামুল হক এনাম আহবায়ক ও গণিয়ার রহমান গণি সদস্য সচিবের পদ পেয়েছেন। আহবায়ক কমিটি প্রকাশের পর ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) রাতেই ইউনিয়নের কর্মী সমর্থক ও নেতাকর্মীরা মসাল জ্বালিয়ে স্বল্পপরিসরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। ২৬ জানুয়ারি (রবিবার) বেলা ১১ টায় তারালি বাজার অভিমুখে কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, দলীয় সমর্থকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এস.এম সেলিম আহমেদের সঞ্চালনায় তারালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরশাদ আলী মেম্বরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আক্তারুজ্জামান বাপ্পী, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক কিসমতুল বারী,উপজেলা বিএনপির সাবেক স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাদ্দাম ফরহাদ, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আজিজ, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক আহবায়ক সোহেল রানা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম নজু, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল আল মামুন, তারালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোনাজাত আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা হিন্দু-বৈদ্ধ্য-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু মিলন কুমার সরকার প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি মোঃ আরশাদ আলী বলেন, এনামুল হক এনাম ও গণিয়ার রহমান গণি সকল সময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সব প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকতো, আওয়ামীলীগের দালালি করতো, চেয়ারম্যান এনামুলের গাড়িতে ঘুরে ঘুরে আওয়ামীলীগের দলীয় কাজ করতো। তারা আজ কিভাবে বিএনপি’র পদ পায় আমার বুঝে আশে না। আমরা এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করলাম, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা না হলে আমরা রাজ পথে নেমে যাবো। সমাবেশ শেষে তারা চাম্পাফুল ইউনিয়নে উপস্থিতিত হয়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে যুক্ত হন। একই ভাবে উপজেলার চাম্পাফুল, বিষ্ণুপুর, কৃষ্ণনগর, মৌতলা, রতনপুর, ধলবাড়িয়া, মথুরেশপুর সহ সবকয়টি ইউনিয়ন কমিটি অনেকটা পকেট কমিটি হিসাবে পরিচিত হয়ে আছে। ঐ কমিটি যে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছে সে গুলো চরম বিতর্কিত ও আওয়ামী দোসরদের পাশাপাশি অদক্ষ, অ- সাংগঠনিক আর সাজানো পকেট কমিটি গঠন করে নামকাওয়াস্তে সম্মেলন করে আবারও হাস্যকর কমিটি গঠনের পায়তারা চালাচ্ছে এবাদুল বাবু গং।