পিআরও কি? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত দুদিন আগে এই সংক্রান্ত একটি পোষ্ট করায় কমেন্টস ও ইনবক্সে পিআরও সম্পর্কে কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন। পিআরও হচ্ছে পাবলিক রিলেশন অফিসার কিংবা জনসংযোগ কর্মকর্তা ।
সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমুহে জনগুরুত্বপূর্ন পদ এটি। সাংবাদিকরাই এই খন্ডকালীন কাজে নিয়োগ পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে তার উল্টো। পদটিতে নিয়োগ প্রদান করা হলে সারাদেশে কয়েক হাজার সাংবাদিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হতো বলে বিএমএসএফ মনে করছে।
যেভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইনী জটিলতা এড়াতে আইনজীবিদের লিগ্যাল এ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তেমনি জনগন ও মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত রাখতে সাংবাদিকদের মধ্য থেকে পিআরও নিয়োগের বিধান রয়েছে।
ধরুন, একজন সাংবাদিক হবেন এমপি, মেয়র, চেয়ারম্যান কিংবা কোন কোম্পানীর পিআরও। চলমান ব্যবস্থাপনায় এখনও কিছু কিছু এলাকায় এসব নেতাদের কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে কোথাও কোথাও দালালখ্যাতি পেয়েছেন অনেকে। যদি একই কাজ নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় করা হয় তবে এটি পেশাগত কাজ বলেও বিবেচিত হবে।
কিন্তু কালক্রমে সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত এইপদটিতে ভিন্নপেশার লোকজন অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। শতকরা ৫ ভাগ সাংবাদিকও পেশাটিতে নেই।
প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু দূর্ণীতিবাজরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে দূরে থাকতে সাধারণ কোটা থেকেই পদটিতে নিয়োগ দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। আবারো তৃণমূল থেকে সাংবাদিকরা সক্রিয় হলে ফিরে আসতে পারে পেশার আধিপত্য।
দেশের প্রতিষ্ঠান গুলোতে পিআরও পদে প্রকৃত সাংবাদিক নিয়োগ করা হলে সম্মানজনক বেতনে কাজ করতে পারবে দেশের কয়েক হাজার সাংবাদিক। পিআরও কেবলমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠানেই নয়। বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে জনগনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্যসব পদের মত এই পদটিতে সাংবাদিককে পিআরও হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ২০১৩ সাল থেকে দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী জনমত তৈরী করে চলছে। ইতিমধ্যে এই দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য দেশের সাংবাদিকরা ঐক্যমত পোষন করে কাজ করছে। দাবিটি বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের প্রয়োজন সজাগ-সচেতন থাকা। মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকের নিজস্ব এই পদটি আজ অন্য পেশার লোকের দখলে।
লেখক: আহমেদ আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফ, কেন্দ্রীয় কমিটি ০১৭১২৩০৬৫০১, মে ১৬, ২০২০ খ্রী:।