ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি; উত্তাল হয়ে উঠেছে সব নদ-নদী।
এদিকে ৪৩টি পয়েন্টে বেড়িবাধ ঝুকিপূর্ণ থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে এলাকাবাসী। তবে জানমাল রক্ষায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। দুই লক্ষাধিক মানুষ ইতোমধ্যেই উঠেছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।
জেলা আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে জেলার সব নদ-নদী উত্তাল হয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট পানি বেড়েছে ইতোমধ্যেই। যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া।
আবহাওয়া কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিম মধ্য বঙ্গপোসাগর থেকে উৎপন্ন হয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান বর্তমানে সাতক্ষীরা উপকূল থেকে প্রায় পৌনে ৩০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সুন্দর বন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। সে সময় ঝড়টির গতিবেগ ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার থাকতে পারে প্রতি ঘণ্টায়। ধারণা করা হচ্ছে একই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতও হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত আর বাতাসের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে জানমাল রক্ষায় ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।