‘মওলানা আল্লামা শফী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাতে ইউরোপ সফর থেকে দেশে ফিরে বুধবার বঙ্গাব্দ ১৪২৮ এর পয়লা বৈশাখ দুপুরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন ড. হাছান। এসময় পবিত্র রমজান ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন উপলক্ষে তিনি নতুন বছরে দেশ ও সমগ্র বিশ্বের করোনামুক্তি কামনা করেন।
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির মওলানা আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলায় বাবুনাগরী ও মামুনুল হকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অভ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্যাতনের মাধ্যমে মওলানা শফীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।’
‘নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। তখনকার পত্রপত্রিকায় এবিষয়ে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শতবর্ষী মওলানা শফীর চরম অসুস্থতাকালে তার কক্ষ ভাংচুর করা, হাসপাতালে নেবার পথে এক ঘন্টা গাড়ি আটকে রাখা, অক্সিজেন টিউব খুলে নেয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা -এসবই সবাই দেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘মওলানা শফী সাহেব আমার নির্বাচনী এলাকার ও আমার পাশের ইউনিয়নের একজন আলেম ছিলেন। তার মতাদর্শ নিয়ে নানা কথা থাকলেও মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সজ্জন। যারা মামলা করেছেন, তারাও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ। আমি চাই, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ মওলানা শফী সাহেবকে যারা নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।’
করোনা সংক্রমণরোধে লকডাউনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য সম্পর্কে এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণকে মহামারীর হাত থেকে রক্ষার জন্যই সরকার লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশেও একই ব্যবস্থা। কিন্তু দু:খজনক, মির্জা ফখরুল সাহেবদের কথা শুনে মনে হয়, তারা চান, দেশে করোনা সংক্রমণ আরো ব্যাপক বৃদ্ধি পাক, প্রতিদিন দেশে শতশত মানুষের মৃত্যু হোক, তাহলে তাদের রাজনীতিতে সুবিধা হয়।’