মোঃ মনির হোসেন শাহীন:দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর প্রতিনিধি গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর হাত পা কেটে নেয়ার হুমকী দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পরপরই সাংবাদিক অপু বিষয়টি কালের কণ্ঠ সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে অবগত করেন।
জানা গেছে, রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে স্থানীয় মাঝিকাড়া গ্রামের ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী সাংবাদিক অপুর বাসার সামনে এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে নবীনগরে সাংবাদিকতা করতে হলে, স্থানীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যাবে না এবং কোন টকশোতে এমপি’র বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না বলে হুঁশিয়ারী দেয়। এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভবিষ্যতে এমপির বিরুদ্ধে যদি পত্রিকায় কিছু লেখা হয়, কিংবা টকশোতে কিছু বলা হয়, তাহলে অপুর হাত পা কেটে নেয়া হবে বলে চিৎকার করে হুমকী দিতে থাকে। সাংবাদিক অপু সেসময় আদালত সড়কে অবস্থিত তার বাসার দু’তলায় রাতের খাবার খাচ্ছিলেন।
সন্ত্রাসীরা চিৎকার চেচামেচি করে যখন অপুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন, তখন তিনি নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশীদকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে, ওসি তাৎক্ষণিকভাবে থানার ওসি (তদন্ত) নূরে আলমের নেতৃত্বে ৫/৬ জন এস আইকে (দারোগা) দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠান। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক অপুর বাসায় ছুটে এসে খোঁজ খবর নেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু বলেন,’গত শুক্রবার একটি টকশোতে নবীনগরের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথার বলার পর স্থানীয় এমপি’র কয়েকজন অনুসারী তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এরপর শনিবার এমপি এবাদুল করিমের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম নজু’র অনুসারী মাঝিকাড়ার বাসিন্দা সুমন উদ্দিন তার ফেসবুকে অপুকে দেখে নেয়ার হুমকী দিয়ে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের পরই আজ রাত সাড়ে দশটায় এ ঘটনা ঘটে।’
কাল সোমবার নবীনগর থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক অপু জিডি করবেন বলেও জানান।
নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশীদ গতকাল ২৫শেএপ্রিল রবিবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন,”ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। কারা সেখানে গিয়েছিল, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।”
নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেনের সঙ্গে গতকাল ২৫ শে এপ্রিল রবিবার রাতে কথা বললে, তিনি বলেন,”বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে।”
নবীনগরের ইউএনও একরামুল ছিদ্দিক বলেন,”পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।”