প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে ডিসেম্বরে নির্বাচন। জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই, এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নাই। ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে যে দেশ উন্নত হয় সেটার প্রমাণ এখন নিশ্চয়ই আপনারা পাচ্ছেন। এখন সমুদ্রের তলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে। সেই অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়।সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৩৯ জন সরকারি কর্মচারী ও ৩ প্রতিষ্ঠানকে ‘জনপ্রশাসন পদক-২০১৮’ পদক ও সম্মাননা স্মারক প্রদান শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের পর একটা রক্তাক্ত অবস্থা বারবার বিরাজ করেছে। যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে।তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছর যেতে না যেতেই সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশকে যখন তিনি গড়ে তুলেছেন। উন্নয়নের পথে অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে তিনি যাত্রা শুরু করেছেন ঠিক সেই সময়ে এলো চরম আঘাত। জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল। এ হত্যাকাণ্ডটা বাংলাদেশের জন্য কতবড় আঘাত তা জাতি উপলব্ধি করেছে।আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে দেশ গড়ে ওঠার কথা ছিল সেই দেশ দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে। সেদেশের মানুষ বঞ্চিত থেকে গেছে, ক্ষুধার্ত থেকে গেছে। গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং সেখানে একের পর এক ক্যু হয়েছে। আর এর খেসারত দিয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও সিভিল প্রশাসন, জনগণ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও এর শিকার হয়েছে।