১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেই ছাত্রলীগ করা শুরু করি। আমি গোপালগঞ্জ মহিলা কলেজ এর ফার্স্ট গার্ল ছিলাম। পরবর্তীতে বঙ্গমাতার নামে কলেজের নাম পরিবর্তন হয়েছে।ঐ বছর কলেজ থেকে শুধু আমি ঢাবিতে চান্স পেয়াছিলাম কোনো কোচিং ছাড়া। কলেজের শিক্ষক তাদের প্রিয় ছাত্রীকে আসার সময় বলেছিল রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে। সবসময় আমার পরিবারের কথা মনে পড়ে, আমার পরিবারের কেউ কোনোদিন আমার কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেনি আমার কর্ম নিয়ে চিন্তিত হয়নি।তারা জানতো যে আমার দ্বারা কোনো মন্দ কিছু হবেনা। এমনকি ছাত্রদলের মেয়েরা ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে আমাকে হল থেকে লান্সিত করে বের করে দিলে পত্রিকা থেকে আমার পরিবার জানতে পারে এবং ঢাকায় রওনা করে আমাকে খুজতে। আমি নিরাপদে বাড়ি পৌছালে কেউ সেদিন বলেনি কেনো আমি এসব করতে গেলাম! সেই ছোট বেলা থেকে আমার প্রতি তাদের আস্থা বিশ্বাস অটুট রয়েছে। আমিও কোনো কাজে পরিবারকে ছোট করিনি বরং সম্মানিত করেছি, সবার পছন্দে রোকেয়া হলের সভাপতি হয়েছি, ইয়ার লস না দিয়ে পড়ালেখা শেষ করেছি, বিএনপির সময়ে দুইবার বিসিএস ভাইভা দিয়েছি, সর্বশেষ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড এর পঞ্চম ব্যাচ MTO হয়েছি, ব্রাঞ্চ ব্যংকিং এ সুনামের সাথে কাজ করে সবগুলো ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয়েছে। মাকে হারিয়েছি অনার্স প্রথম বর্ষে, মা ছাড়া শ্বাশুড়ির হেল্প ছাড়া ব্যাংকের চাকুরী করে দুটো ছেলেকে বড় করেছি, বড় ছেলেটার ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত কোনো শিক্ষক রাখিনি, অফিস থেকে এসে একদিকে রান্না করেছি অন্যদিকে ওকে পড়িয়েছি। একটু বড় হলে ছোট ছেলেটার জন্ম হয়। ছোট ছেলেটা একটু বড় হলে সাতক্ষীরার রাজনীতিতে সক্রিয় হই। অনেক
কষ্ট ও বন্ধুর পথ পাড়ি দেয়ার পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমার প্রাণপ্রিয় আপা আমাকে দুটো দলীয় দায়িত্ব দিয়েছেন তার মর্যাদা আমি যেকোনো মূল্যে রক্ষা করব ইনশা আল্লাহ।
শেখ মাসুদা খানম মেধা- সদস্য, মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ।