রুবেল হোসেন।। বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর ও শরিয়তপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ কৃষক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ (৩ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১০:০০ ঘটিকা থেকে বিকাল ০৩ঃ০০ ঘটিকা পযন্ত ভোলা সদর উপজেলায় কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর ও শরিয়তপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা সাধারন কৃষকদেরকে এ প্রশিক্ষন দেন ।
এ সময় প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবির, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভোলা। আরো উপস্থিত ছিলেন , আলি আজিম শরীফ অতিরিক্ত উপপরিচালক (সষা) খামার বাড়ি ভোলা, মোঃ কামরুল হাসান, উপজেলা কৃষি অফিসার ভোলা সদর ভোলা। সরিষা, পেঁয়াজ, ফেলন, টমেটো, বোরো, বেগুন, সয়াবিন, ভার্মি কম্পোস্ট এ সম্পর্কে কৃষকদের কিভাবে অধিক ফসল বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে বলেন।
টমেটোঃ টমেটো এদেশে শীতকালীন ফসল। উচ্চ তাপমাত্রা এবং বাতাসের আদ্রতা টমেটো গাছের রোগ বিস্তারের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। আবার উচ্চ আদ্রতা ও শুষ্ক আবহাওয়া ফুল করে পরে রাত্রে ও তাপমাত্রায় ২৩০ সেন্টিমিটার এর নিচে থাকলে তা গাছের ফুল ও ফল ধারণের জন্য বেশি উপযোগী।
ভার্মি কম্পোস্টঃ এ সম্পর্কে বলেন জৈর্বসার হচ্ছে মাটির প্রান। যেমন আমরা মানুষ, আমাদের প্রান আছে আমরা প্রান বাচাতে রক্ত প্রয়োজন তেমনি মাটির প্রান বাচাতে জৈর্বসার প্রয়োজন।
তাই আপনারা নিজেরাই বাসায় জৈর্বসার উৎপাদন করবেন। ছায়া যুক্ত জায়গায় নির্ধারন করতে হবে।
প্রথমে কয়েকটি রিন নিতে হবে আপনারা ইচ্ছা করলে আরো কম রিন নিয়ে শুরু করতে পারবেন। রিন গুলো এমন জায়গায় স্হাপন করতে হবে,যাতে সব সময় ছায়া থাকে। কাচা গোবর সংগ্রহ করতে হবে। কাচা গোবর এনে নিদিষ্ট একটি স্হানে রাখতে হবে। এনে প্রথমে কাগজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কয়েক দিন পরে কাগজ তুলে তার হালকা করে মেলে দিতে হবে যাতে তার যে গ্যাস বা গন্ধ আছে তা দুর হয়।
তার পর যে রিন আছে তার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে তবে রিন থেকে দুই ইন্সি খালি রাখতে হয় নিচের দিকে।
পরে কেচো দিতে হবে তবে এক একটি রিনে ছয় হাজার কেচো দেওয়া লাগবে। কারন কেচো যত খাবে তত মল ত্যাগ করবে। মূলত কেচোর মলটা হচ্ছে জৈবসার। উপর দিয়ে কেচো দেওয়ার পর হালকা পানি ছিটিয়ে দিয়ে পরে চট বা কাগজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। সাত আট দিন পর পর দেখতে হবে কোন পোকা, পিপরা, ব্যাঙ ও অন্যান্য পোকা মাকর খেয়ে না ফেলে। সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ ছাড়াও সরিষা, পেঁয়াজ, ফেলন, বেগুন, বোরে, সয়াবিন এর সমন্ধে কিভাবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করা যায় সে সম্পর্কে ধারনা দিয়েছেন।
পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ শেষে মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবির, উপপরিচালক ৬০ জন কৃষকের হাতে বিনামূল্যে সার,বীজ, টিন ও রিন তুলে দেন।