সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে বাড়ি থেকে আকলিমা বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূকে ধরে নিয়ে খুঁটিতে বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। ভিকটিম আকলিমা উপজেলার ধনপুর ইউপির পশ্চিম ছাতারকোনা গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা করে। এরপর বুধবার সকালে কাজল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগের জানা যায়, উপজেলার ছাতারকোনা গ্রামের কনস্টেবলের শফিকুল ইসলামের পরিবার ও গৃহবধূ আকলিমার পরিবারের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে কনস্টেবলের বাবা আবদুল মোতালেব ও আইন উদ্দিনের ছেলে আবদুল মান্নানসহ অন্যরা ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সকালে ধরে নিয়ে যায়। এরপর চাচা আবদুল কুদ্দুসের বাড়ির উঠোনে থাকা গরু বাঁধার খুঁটির সঙ্গে ওই গৃহবধূকে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারপিট করে।ঘটনার খবর পেয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে দুপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।আকলিমার স্বামী সেলিম মিয়া জানান, আকলিমা গত রোববার আমলগ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা আমার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে খুঁটিতে বেঁধে মারপিট করেছে।
সুনামগঞ্জে টুকেরঘাটে নৌপুলিশে কর্মরত কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মা সুফিয়া খাতুনকে বাড়িতে এসে আকলিমা মারপিট করায় তার আত্মীয়রাই তাকে মারধর করেছেন।বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোল্লা মো. মুনির হোসেন জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা করে। এরপর আজ সকালে কাজল নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।