মোঃ রাজীব হোসেন:
বরকলে প্রান্তীক খামারিদের আধুনিক পদ্ধতিতে গাভী পালনের প্রশিক্ষণ।
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও দৈনিক পুষ্টি চাহিদা মেটাতে গবাদিপশুর ও হাঁস মুরগী পালনের বিকল্প নেই। জীবন ও জীবিকার টানে বাংলাদেশের মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই পশুপালনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, বর্তমানে সারা পৃথিবী ব্যাপি আধুনিক কৃষির বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পিছিয়ে নেই আধুনিক পদ্ধতিতে গবাদিপশু পালনে বেরেছে উৎপাদন যা জিডিপিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পার্বত্য অঞ্চলের আধুনিক পদ্ধতিতে গবাদিপশু পালনের চিত্র চোখে খুব কম পড়লেও প্রায় বাড়িতে চাষিরা দেশীয় গরু ও ছাগল পালন করে থাকেন।
সুস্থভাবে বাঁচতে হলে আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় ডিম,দুধ,মাংস এসবেন বিকল্পনেই।
উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিডিপি) ও জাইকার অর্থায়নে প্রান্তীক পর্যায়ের খামারিদের মাঝে আধুনিক পদ্ধতিতে গাভী পালন ও রোগপ্রতিরোধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।৫-৯ তারিখ পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ চলে এতে দুটি ব্যাচে ২৫ জন করে মোট ৫০ জন নারী ও পুরুষ খামারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এতে প্রধাণ অতিথি ছিলেনঃ- বিধান চাকমা চেয়ারম্যান বরকল উপজেলা পরিষদ। সভাপতি হিসেবে ছিলেনঃ- জুয়েল রানা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বিশেষ অতিথি ছিলেনঃ- সুচরিতা চাকমা ভাইস চেয়ারম্যান বরকল উপজেলা পরিষদ।উপস্থিত ছিলেনঃ- পলি রাণী ঘোষ উপজেলা প্রণী সম্পদ কর্মকর্তা। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রশিক্ষক বৃন্ত চন্দন কুমার দে, সমীরণ কান্তি মহাজন, লোকসভা চাকমা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা পলী রাণী ঘোষ বলেন প্রাকৃতিক উপায় বাদ দিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে গাভী পালন ও চিকিৎসা সেবা চালালে ও গবাদিপশুর প্রতি যত্নবান হলে এবং কৃষক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পালে নিজ উপজেলার পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে।