সিমা বেগমঃ ভোলায় স্বামীর হাতের আঙ্গুল, পা ও মাথায় কুপিয়ে কয়েক টুকরো করলো পাষন্ড স্ত্রী। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ভোলা সদর উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের পন্ডিতের পোল এলাকার শিয়ালী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত পাষন্ড স্ত্রী নুরুন্নাহার ও তার ছেলেকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ২৬ বছর আগে সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জয়গুপ্তি গ্রামের বসিন্দা আবদুর রবের মেয়ের সাথে বিয়ে হয় ফরহাদ হোসেন টিটব মুন্সির। এরপর স্বামী স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বহু বছর যাবত তাদের সুখের সংসার চলে আসলেও ২০১৩ সালের দিকে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই ফরহাদ হোসেন দ্বিতীয় বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করেন একই উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের পন্ডিতের পোল এলাকার শিয়ালী বাড়ির মেয়ে নুরুন্নাহারকে। এরপর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে লেগেই থাকতো পারিবারিক কলহ।
ঘটনার দিন ২৩ অক্টোবর সন্ধায় ফরহাদ হোসেন টিটবকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী নুরুন্নাহান তার নিজ বাড়িতে। এরপর গভীর রাতে চোখে মড়িচের গুড়ো ছিটিয়ে ঘরের ব্যবহৃত দা দিয়ে প্রথমে মাথায় এলোপারি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে ফরহাদ হোসেন অচেতন হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। এরপর হাতের আঙ্গুল ও তার ডান পা কুপিয়ে শরীর থেকে আলাদা করে রান্না ঘরের পাতিলে রেখে দেয়।
সকালে ঘরের সামনে দা নিয়ে রক্ত মাখা বীভৎস অবস্থায় স্ত্রী নুরুন্নাহারকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মধ্যে দেখতে পায় মেঝেতে লুটে পড়ে আছে নিহত ফরহাদ হোসেনের নিথর দেহ। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে।
এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা ভোলা মডেল থানার এসআই মোঃ কবির হোসেন উকিল বলেন, পুলিশ নিহতের স্ত্রী নুরুন্নাহার ও তার ছেলেকে আটক করেছে। জব্দ করা হয় ঘটনায় ব্যবহৃত দা ও মড়িচের গুড়ো। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাতপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ভোলার থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।