তিতুমীর কলেজ ছাএাবাসে থাকাকালীন আন্দোলনের তীব্রতা দেখা গেল। আমার মিয়া ভাই তখন বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প সংস্হার Senior Planning Officer হিসাবে চাকরী রত। থাকতেন খিলগাঁও – চৌধুরী পাড়ার মাটির মসজিদ এলাকার একটি বাসায়। এ বাসাতেই আমি তখন আছি। মিয়া ভাই অফিসে যাওয়ার আগে নিষেধ করে যেতেন যেন বাহিরে না যাই। বাহিরে না গিয়ে পড়তে বলে যেতেন। অফিস থেকে এসে কি পড়েছি, কতটুকু পড়েছি জানতে চাইতেন। মিয়াভাই অফিসে গেলে মাঝে মাঝে আবুল হোটেলের দিকে যেয়ে দেখতাম রাস্তায় শুধুই মানুষ আর মানুষ। মহাখালীর অবস্থা খারাপ দেখে এরই মধ্যে বাল্যবন্ধু সবুর হোষ্টেল থেকে আমার সাথে মিয়াভাইয়ের বাসায় উঠল। ১০ নভেম্বরে অফিসে যাওয়ার আগে মিয়াভাই এর যথারীতি আদেশ দুজনে মিলে অনেক অংক করতে হবে। বাহিরে লাখ মানুষের কোলাহলে আমরা দুজন ঘরে থাকতে পারলাম না। লাখ মানুষের স্রোতে যেন হারিয়ে গেলাম আমরা। দুজন বার বার পরস্পরে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। এরই মধ্যে মানুষের ছোটাছুটি। জানলাম মিছিলের মানুষ মারা গেছে। আমরা দুবন্ধু জীবনটা হাতে নিয়ে বাসায় ফিরলাম। ঐ মিছিল থেকেই নূর হোসেন শহীদ হয়।
লেখকঃ স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আফসার আহমেদ।