লিয়াকত হোসেন রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা সদর বাকশিমইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও আওয়ামীলীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়ে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এঘটনায় তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন একদিল তলা হাটের সামনে এঘটনা ঘটে।
সরজমিনে জানা গেছে, সতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আল মমিন শাহ গাবরুর সমর্থনে ইউনিয়নের সইপাড়া মোড় থেকে প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের পার্টি অফিসের সামনে পৌছা মাত্র আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ বাধে এবং ৪/৫টি গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। নৌকার সমর্থকরা ইটপাটকেল নিয়ে ধাওয়া দিলে সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা শোডাউন একদিল তলা হাটের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এমতাবস্থায় তৃতীয় পক্ষ সেজে আওয়ামী লীগ নেতা খাটো বাচ্চু সহ ৫/৭ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এসময় দু-পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ও তৃতীয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, মেডিকেল মোড় সংলগ্ন সইপাড়া গ্রামের মাসুদ, আব্দুল গফুর, কিরোন, শাহিন ও হারুন। এদের সকলের বাড়ি সইপাড়া গ্রামে।
অপরদিকে সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ৫ জন আহত হয়েছেন। এরা হলেন, সইপাড়া গ্রামের সোহেল, সামসাদ, মজনু ও নুর নবি। এদের বাড়িও সইপাড়া গ্রামে। তবে আহতের মধ্যে নুর নবি গুরুতর আহত হয়ে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, ১১ নভেম্বর আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আল মমিন শাহ গাবরুর সাথে কথা বলতে বাকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদে যান। এসময় সতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আল মোমিন শাহ গাবরু রুমের দরজা বন্ধ করে অবস্থান করছিলেন। তিনি নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করেন নি এবং কথা বলেননি। এরই প্রেক্ষিতে এই সংঘর্ষের ঘটনার সুত্রপাত। যা পরবর্তীতে তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে ভয়াবহ সংঘর্ষে রুপ নেয়।
এদিকে, সতন্ত্র প্রার্থী গাবরু’র সমর্থকেরা নৌকা’র সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন নৌকার সমর্থকেরা।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি।
এবিষয়ে মোহনপুর থানা কর্মকর্তা ওসি মোহা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এঘটনায় এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।