মোঃ শামীম আহমেদ জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী।
পটুয়াখালী জেলার অন্যতম গলাচিপা উপজেলার গেল ১১ই নভেম্বর ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ নামে বিখ্যাত পটুয়াখালী তিন আসনটি তার ভিতরে দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার মধ্যেই গলাচিপা উপজেলা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সংগঠনের একটি ঘাটী হিসেবে পরিচিতি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজও পযর্ন্ত।
উক্ত ১১ই নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত ৮টি ইউনিয়নের নৌকা মার্কার প্রার্থী ছিল খুবই শক্তিশালী। কিন্তুু দুংখ জনক ব্যাপার হল যারা নৌকার প্রার্থী ছিলেন তারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর ভিতরে ওত পেতে থাকা বিশ্বাসঘাতক মীরজাফরদের ষড়যন্ত্রের কাছে হারতে বাধ্য হয় আওয়ামীলীগ কে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।
এই ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্যেই গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ অন্যতম ইউনিয়ন এখানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে সাবেক ছাএ নেতা ও সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক এমপি
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এর ভাই
মোঃ খালিদুল ইসলাম স্বপন মনোনয়ন পায়। এই মনোনয়ন পাওয়ায় উপজেলা,ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের এক অংশ সার্থ বিরোধীদের রাজনীতিবিদের মদদ দাতাদের কাছে জোর করে ক্ষমতা দেখিয়ে চেপে ধরে
বঙ্গবন্ধুর নৌকা শেখ হাসিনার নৌকা উন্নয়নের নৌকা কে বলি দিয়ে সতন্দ্র প্রাথীর সকল প্রকার সহযোগিতা ও বিভিন্ন কৌশলে করে উপজেলা নিবার্চন কমিশন দিয়ে ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত,শেখ হাসিনার মনোনীত,তৃণমূল আওয়ামীলীগ সংগঠনের মনোনীত,নৌকা মার্কার মনোনীত মোঃ খালিদুল ইসলাম স্বপন চেয়ারম্যান প্রার্থী পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে গেল ১৪ই নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করে বলেন,
আমি মোঃ খালিদুল ইসলাম স্বপন বিগত ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত গলাচিপা উপজেলার ১০নং গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি।
আমার ইউনিয়নে নির্বাচনে ৩টি ওয়ার্ডে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস ঐ ৩টি ওয়ার্ডের অনিয়মের আশ্রয় নিয়েই আমাকে ৮২ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। যদি ঐ ৩টি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গননা করা হয় তাহলে আমার বক্তব্যের যথার্থতা প্রমাণ হবে। ২নং ভোট কেন্দ্রে আমার (নৌকা মার্কায়) ভোট দেখানো হয়েছে ৩৮টি, অথচ ঐ ভোট কেন্দ্রে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা রয়েছেন ৬৫ জন এবং আমার নিকটবর্তী আত্মীয় রয়েছেন ১২০ জন। এরা সকলেই নৌকা মার্কায় ভোট প্রদান করেন। এছাড়াও নৌকা মার্কার সমর্থক রয়েছেন ২ শতাধিক। এই ভোটগুলো কোথায় গেল তাও নিশ্চিত হওয়া দরকার। নির্বাচন পরবর্তীকালে ৯নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের বাহিরে ৩টি ভোট দেওয়ার সিল পাওয়া যায়। এ সিল ৩টি কি কাজে ব্যবহার করা হয়েছে তা এক প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। ৯নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার দেওয়া হয়েছিল গলাচিপা কলেজের প্রভাষক মোঃ সাইদুর রহমান মোল্লাকে কিন্তুু কি কারণে প্রিজাইডিং অভিসার পরিবর্তন করে আগের দিন রাতে মোঃ শামসুল হককে করা হয়েছে এর রহস্য উদঘাটন করা দরকার (কপি সংযুক্ত)। ১নং ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার কাগজে স্বাক্ষর রেখে আমার এজেন্টকে বের করে দিয়ে মৌখিকভাবে নৌকা মার্কায় প্রাপ্ত তিনশত চুরাশি ভোট ঘোষণা করে দেন যা উপস্থিত সকল জনগণ শুনেছেন কিন্তুু তিনি রেজাল্টশীটে দুইশত চুরাশি লিখে স্বাক্ষর করেছেন। এমতাবস্থায় উল্লেখিত বিষয়গুলো সুরাহা করার জন্য অবিলম্বে তিনটি ভোট কেন্দ্রের পুনরায় ভোট গননা আবশ্যক। উল্লেখ্য আমি ইতিপূর্বে বিষয় সমূহ উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার বরাবরে যথাযথ সময় লিখিত অভিযোগ করেছি। (কপি সংযুক্ত )।
পটুয়াখালী তিন আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব নুরুল হুদার ভাগ্নে এস এম শাহজাদা ও গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন এর প্রত্যক্ষ মদদে প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাকে নির্বাচনে পরাজিত করা হচ্ছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস মার্কার প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান এর পিতা :-মোঃ হালিম বিশ্বাস গলাচিপা উপজেলার শান্তি কমিটির উল্লেখ যোগ্য সদস্য ছিলেন। তার পরিবারের কেউ আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল না।
এমতাবস্থায় ন্যায় বিচার নিশ্চিতের স্বার্থে অবদানের বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচারের অনুরোধ যানান মোঃ খালিদুল ইসলাম স্বপন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগ গলাচিপা পটুয়াখালী। এবং বাংলাদেশের মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে একটি মামলা হয়।
এবং গেল ২৯শে নভেম্বর রোজ সোমবার উক্ত মামলার শুনানির দিন ধার্য করে শুনানিতে উল্লেখ্য করেন আপাতত গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীর গেজেট প্রকাশ স্হাগিত করেন এবং পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পযর্ন্ত ঐ ইউনিয়নের নবাগত চেয়ারম্যানের সকল কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দেন।এবং পুনরায় ভোট গননার আশ্বাস দেন।