গাজী এনামুল হক (লিটন)পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পিরোজপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এরপর গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে কেক কেটে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু করা হয়।
৪ জানুয়ারি ২০২২ ইং সকাল সাড়ে ৭টায় পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম টিটু ও পিরোজপুর জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদ (জি.এস) এর নেতৃত্বে এবং অপর দিকে পিরোজপুর জেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক এর নেতৃত্বে বিকেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আলাদা আলাদা ভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন।
এরপর পিরোজপুর পৌর শহরে গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে কেক কাটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগ। এর আগে, সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পিরোজপুর জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মোঃ জাহিদুর ইসলাম টিটু এবং পিরোজপুর জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদ (জি. এস ) বক্তবে বলেন, ‘গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম এবং সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ৭৪টি বছর অতিক্রম করেছে প্রাণের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি, যিনি পিতৃহারা এ এতিম সংগঠনটিকে জননীর মমতায় ধারণ করে এবং ভগিনির স্নেহে লালন করে চলেছেন।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ’৫৮-এর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফার পক্ষে গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে।
এরপর ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল-সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে হত্যা করার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে।