পটুয়াখালি সদর উপজেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধনের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তাকে ‘স্যার’’ না বলায় ‘ভাই’’ বলে সম্বোধন করায় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের দক্ষিন প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলামের ওপর ক্ষেপে অশালীন আচরন করার অভিযোগ উঠেছে মির্জাগঞ্জ উপজেলার দ্বায়িত্বরত নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে।
সকাল সাড়ে ১১টার সময় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে মির্জাগঞ্জ সহ পটুয়াখালীর সকল সাংবাদিক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে এবং তাকে অপসারনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সালে রিয়াজ কাজী নামে আমার এক আত্মীয়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের সংশোধনের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাই। এসময় দায়িত্বরত নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাৎ হোসেনকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে পরিচয় পত্রের সমস্যাটি সমাধানের বিষয়ে আলাপ করি। এতেই ক্ষেপে যান ওই নির্বাচন কর্মকর্তা।
তখন নির্বাচন কর্মকর্তা তাকে বলেন, ‘‘আপনি আমাকে ভাই বললেন কেন, আমি আপনার কেমন ভাই, খালাতো ভাই না চাচাতো ভাই”। এসব বলে এক পর্যায়ে তাকে স্যার না বলে ভাই বলায় আমার সঙ্গে তিনি বিভিন্ন ধরনের অশোভন আচরন করেন। পরে তিনি পরিচয় পত্রের সংশোধনের ব্যাপারে কোন কিছু না বলে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের ক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট মো. মুজিবুর রহমান বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের আচরন করা ঠিক না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন , সাদ্দাম ভাই একজন লোক নিয়ে আসছিলো। আমি তাকে ভালো করে জানিও না, চিনিও না। এই আর কি। স্যার না বলে ‘ভাই’ বলার কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি ঠিক সেটা না, তিনি একটি লোক নিয়ে আসছিলো অফিসে তা নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে সেরকম কিছু না বলে জানান।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস মুঠোফোনে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো বলে জানান তিনি।