ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এলাকায় বৃষ্টিতে সদ্য রোপনকৃত ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি সরিয়ে না গেলে পানির নিচে ডুবে থাকা এসব ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। রবিবার ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া টানা দু দিনের হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় এসব ফসলি ক্ষেত।বুধবার সরেজমিনে পীরগঞ্জ উপজেলার ৫নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের এক্তিয়ারপুর মৌজা ভাবনাগঞ্জ বাজারের পূর্ব পাশে কালভার্টি অবস্থিত। অন্যায় ভাবে মাটি ভরাট করে উক্ত কালভার্টের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। উত্তর পাশে দেখা যায়,কৃষক আজাহারের বোর ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ একরামুল হক বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করার কারণে সরকারি রেকর্ডীয় রাস্তার কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কয়েকজন কৃষক। গত তিন বছর ধরে তিনি ড্রেন নির্মান করে দিবেন বলে আমাদের কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও এর প্রতিকার আমরা পাইনি। প্রতিবছরে আমাকে মোটা অংকের টাকা গুনতে হয় দিনমজুরদের পিছনে। এদিকে মাছ ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন। বৃষ্টির পানিতে আমার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে এসব মাছের আনুমানিক মুল্য দুই হতে তিন লাখ টাকা হবে। কৃষক ব্যবসাহিসহ প্রায় সাত হতে আট লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে। তবে সাবেক চেয়ারম্যান কৃষকদের ড্রেন নির্মাণের করার আশ্বাস দিয়ে ছিলন। সেটি তিনি নির্মাণ করে দেন ফলে আবাদি ফসলসহ আমন ধানের বিজ পানির নিচে, এলাকার বোরো ধানের জমিগুলো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়নের এক্তিয়ারপুর গ্রামের বিশ একর কৃষি জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। দেখে সহজে বোঝার কোনও উপায় নেই সেগুলো কৃষি জমি। মনে হবে যেন পুকুর কিংবা বিল। অথচ পানির নিচে ডুবে থাকা প্রত্যেকটি জমিতে লাগানো আছে বোরো ধান। এসব ক্ষেত নষ্ট হলে ওই এলাকার অন্তত ৩৫ জন কৃষক অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও কৃষক কৃষি আবাদে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত আশেপাশে বাড়িঘরে পানি জমে থাকে। পানি জমে থাকার কারণে রান্না করতে কষ্ট করে। উক্ত বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রেজাউল করিম কৃষকদের মাঝে ছুটে যান। কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আশ্বাস দিয়েছেন।