বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞন সমিতির পক্ষ থেকে ডাক্তার আবু কামরান রাহুলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ফিকামলি সেন্টার প্লাটিনাম জিমের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ আবু কামরান রাহুল অল্প বয়সে এক সুযোগে মেডিসিনে সর্বোচ্চ ডিগ্রি “ডক্টর অফ মেডিসিন” ( এমডি) অর্জন করায় এবং করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আ.ব.ম ফারুক। প্রধান অতিথি বলেন, রোগীদের জন্য ডাক্তার হলো শেষ আশ্রয়স্থল। কিন্তু মাঝেমধ্যে দেখতে পাই কিছু কিছু ডাক্তারদের ম্যাল প্র্যাকটিস। অহেতুক পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে বিশালনফর্দ ধরিয়ে দেন রোগীদের হাতে। ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে অনেক ডাক্তারদের কমিশন গ্রহণ, অখ্যাত ঔষধ কোম্পানির নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে মানহীন ঔষধ প্রেসক্রাইব করা যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। টাকা-পয়সার জন্য নয়, সেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় আসা উচিত। সভাপতির বক্তব্যে ফিকামলি তত্ত্বের জনক, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, মনোবিজ্ঞান গবেষক ড. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, চিকিৎসক সমাজের জন্য ডাক্তার রাহুল এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ডেঙ্গু ও করোনা ম্যানেজমেন্টে তার পারদর্শিতা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। কম পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে স্বল্প খরচে কিভাবে রোগীকে সুস্থ করা যায় এ যেন তার প্রতিদিনের মেধা ও মননের গবেষণা। কাছ থেকে দেখা সে একজন মানবিক ডাক্তার একথা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর শামসুদ্দীন ইলিয়াস বলেন ডাক্তার আবু কামরান রাহুল শুধু একজন ভাল ডাক্তারই নয় সে একজন ভালো মানুষও। রোগীদের প্রতি তাঁর আচার-আচরণ, সঠিক রোগ সনাক্ত করে দ্রুত চিকিৎসাসেবা প্রদানে তার পারদর্শিতা রোগীকে মুগ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এদেশে রাহুলের মত শত শত ডাক্তার পেলে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা আরো উন্নত হবে, রোগীরা আস্থা ফিরে পাবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড.আজিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান এলামনি অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক শেখ সালাউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মাহমুদুর রহমান, প্রফেসর মনিরুজ্জোহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, প্রফেসর যোগেন কুমার মন্ডল , প্রফেসর ডঃ মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ইমতিয়াজ জামান পারভেজ, ডাক্তার রাজীব হালদার, ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদ, প্রফেসর মাসুদা বেগমসহ অনেক শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৃন্দ।
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের খিলোগ্রামের কৃতি সন্তান ডাক্তার আবু কামরান রাহুল। তার বাবা জামাল উদ্দিন পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
ডাক্তার রাহুল একজন মানবিক ডাক্তার হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। ডেঙ্গু ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার সাহসী ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়। করোনা মহামারীর সম্মুখ যোদ্বা হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর কোভিড ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে।
মাঝে মধ্যে হেলিকপ্টার যোগে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দিতে ছুটে যান ডাক্তার আবু কামরান রাহুল। এজন্য বন্ধু মহল ও নিজ এলাকায় হেলিকপ্টার ডাক্তার নামেও বেশ পরিচিত।
সাধারণ চিন্তা ভাবনার বাইরে গিয়ে অনেক জটিল রোগীর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করে গেছেন সফলভাবে । বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবিরাম পথ চলায় আজ তাকে এনে দিয়েছে এত বড় অর্জন। এই অর্জনের পিছনে তিনি পরিবারের সকল সদস্য, সকল শিক্ষক এবং তাঁর রোগীদের প্রতি কৃতিত্ব দিয়েছেন। বিশেষকরে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ড. আব্দুল ওয়াদুদ এর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার রাহুল বলেন, আপাতদৃষ্টিতে বাবা-মায়ের টাকা মনে হলেও দেশের গরীব, দুখী মেহনতী মানুষ সহ আপামর জনসাধারণের ট্যাক্সের পয়সা আমাদের পড়াশোনার পিছনে সরকারের খরচ হয়। তাই ধনী-গরিব সবাইকে একই দৃষ্টিতে অভিন্ন চিকিৎসা সেবা দেয়া আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। অতীব প্রয়োজন ছাড়া অহেতুক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রোগীরা বিরক্ত হয় ও ডাক্তারের উপর আস্থা হারায়। ডা: রাহুল আরো বলেন, যেহতু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পেশাতে থাকবো তাই এই মহান পেশাকে সবসময় সহিহ রাখবো, কোন প্রলোভনে কখনো আমার কলমকে বিক্রি করতে দেবোনা।
ঢাকার ২২/২, সোনারগাঁও রোডস্থ হাতিরপুলে অবস্থিত ফিকামলি সেন্টারে তার নিজস্ব চেম্বারে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। গরীব রোগীদের জন্য কোন ফি গ্রহণ করেন না ডাঃ রাহুল। গরিব ও দুঃস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করেন ফিকামলি সেন্টার -প্লাটিনাম জিমের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. আব্দুল ওয়াদুদ।
এছাড়া পিতা-মাতার নির্দেশ ও নিজের দায়বদ্ধতা থেকে প্রতি শুক্রবার ডাঃ রাহুল সিলেটে তার গ্রামের বাড়িতে যান রোগী দেখতে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শাহগলি বাজারে এবং বিকেল ৩টা থেকে ৮টা চারখাই বাজারে রোগী দেখেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এই নাম্বারে ০১৭০৯৫১৮৫১৮ ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে
https://www.facebook.com/drabukamranrahul
ডাক্তার রাহুল ভবিষ্যতে চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চতর গবেষণা করে এ খ্যাতকে আরো এগিয়ে নিতে চান। গুনীভাজন এই চিকিৎসকের জন্য রইলো শুভকামনা।