বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২২ অপরাহ্ন
বারান্দার অর্কিডগুলো কিছুটা বিবর্ণ রুপ ধারণ করেছে, বেশ কিছুদিন ওদের কাছে যেতে পারছি না। টুকরো মরুদ্যানটি এখন ওদের দখলে!! বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হওয়ার পর লক্ষ্য করলাম ঝুলন্ত মাটির সানকি লাগনো দূর্বাঘাস যেটি ইতিমধ্যেই প্রায় পনের মিটার লম্বা হয়ে নিচে ঝুলে পড়েছিলো, তাকে দলা পাকিয়ে বাসা বেঁধেছেন ইনারা। পালা করে তা দিচ্ছেন একজন, আর ফুটবলে বসে সঙ্গ দিচ্ছেন অন্যজন। সে জল খাবাবের খোঁজে বের হলে অন্যজন তা দিতে বসছেন। ওদের এই ডিউটি শিফটিং এর সময় সুযোগ বুঝে স্মৃতি ধরে রাখলাম। সারাক্ষণ ফুটবলে বসেন দেখে ভাবলাম হয়তো ভালো খেলোয়াড় ছিলো, তাই এমন ফুটবল প্রীতি। ডিম ফূটেছে, ছানাদের গলাগলি দেখে নাম রেখেছি মেসি আর নেইমার। হয়তো বা বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই ওদের পাখনা গজাবে, ডানা মেলবে নীল দিগন্তে…। সর্বগ্রাসী মানবের গড়া ইট পাথরের শহরে ওদের জন্য ছোট্ট একটা বাসা বাঁধার জায়গাটুকুও অবশিষ্ট রাখিনি, যেখানে বসে নির্বিঘ্নে দুজন মিলে ডিমে তা দিতে পারবে। কংক্রিট মন আমাদের তাই মিছে সে আলাপন …
ভালো থেকো নেইমার, ভালো থেকো মেসি,, নিরাপদ হোক তোমাদের আকাশ…
** স্পেশাল থ্যাংকস টু পুতুল আর পরী, ওদের ডিস্টার্ব হতে পারে ভেবে যারা বারান্দার দরজা খোলা, এমনকি দিবালোক বঞ্চিত হয়ে পর্দাটাও সরানোও বন্ধ রেখেছে…
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।