হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় দুই নেতাকে জড়িয়ে অপ প্রচারে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ জনগন। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। জানাগেছে, আসন্ন দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে সমাজে হেয় করতে নানান অপপ্রচারে লিপ্ত। এরই অংশ হিসাবে সাতক্ষীরা ৩ আসনের অত্যান্ত জনপ্রিয় নেতা, বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. শহিদুল আলম ও আরেক জনপ্রিয় ও সৎ ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানকে জড়িয়ে একটি ব্যানার টানানো হয়েছে নলতাসহ বিভিন্ন মন্ডপে। সেখানে লেখা হয়েছে পর্দা মেনে পূজা মন্ডপে আসতে হবেসহ আপত্তিকর কথা লিখে ৩০টি ব্যানার তৈরী করেছে পূর্ব নলতা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মোকছেদ আলী মোড়ল। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। এ ব্যাপারে জননেতা ডাঃ মোঃ শহিদুল আলম এক বিবৃতিতে বলেন আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে খেয়াল করিতেছে যে, একটি বিশেষ মহল হীন রাজনৈতিক স্বার্থে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সদ্য প্রাপ্ত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার জন্য হীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারই একটি অংশ হলো এই ব্যানার প্রকাশ। আমরা অত্যন্ত গভীর ঘৃনাভরে এই কর্মকান্ডের নিন্দা জানাই। আমি আরো স্পষ্ট ভাবে বলিতে চায় যে, আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন যাতে সার্বঙ্গীন সুন্দর ও সার্বজনীন হয় সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দেশের আবহমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং আমাদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী আমাদের যে অবস্থান সেটা বহাল রাখার জন্য আমাদের সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ ধরনের যড়যন্ত্র এবং ঘৃন কর্মকান্ডকে নস্যাৎ করতে হবে, যাতে আমরা একটি সুখী সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে পারি, আগামীর দিনের রাষ্ট্র নায়ক জনাব তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে পারি। সর্বপরি সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে এই উৎসবের সফলতা কামনা। উল্লেখ কালিগঞ্জ থানায় জিডিকৃত নাম্বারটি দেওয়া হলো- ১০৭১। একইভাবে চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ন্যাক্কারজনক এহেন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান।