মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
ইবি ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

ইবি ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

 

মোতালেব বিশ্বাস  ইবি প্রতিনিধি।।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার বিরুদ্ধে নবীন শিক্ষার্থীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর এ অভিযোগ করেন ফুলপরী খাতুন নামের নবীন শিক্ষার্থী। তবে অভিযোগ পত্রের নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ও ১২ তারিখে ২ দফায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রী এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা নেতৃত্বে ৭-৮ জন চরম মানসিক নির্যাতন ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে এসবে ভিডিও ধারণের করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরেরদিন সোমবার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) খুব সকালে জীবন বাঁচাতে ফুলপরী হল থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি পাবনাতে চলে যায়। তারপর সকালে তাঁকে হলে না পেয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ অন্যরা একাধিকবার ফোন দেয়, কিন্তু ভয়ে ফুলপরী কারো ফোনই রিসিভ করেনি।পরে সে বাসায় এগিয়ে পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অভিযোগ প্রদান করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী বলেন, ‘ওই মেয়ে কি কোনো অভিযোগ দিয়েছে? প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে?’ এরপর তিনি দাবি করেন, ‘অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। ওই মেয়ে মিথ্যা বলছে। হয়তো এক কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি উপাচার্যের কাছে এসেছি। ওই মেয়ে যে মিথ্যুক, তার প্রমাণ উপাচার্যকে দেওয়া হচ্ছে’

ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, প্রথম বর্ষের এক মেয়ে কিছু সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছিলো কিছু ছাত্রী। পরে আমি ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা মিলে বিষয়টি মিটমাট করে দেই। কিন্তু পরে তার সাথে কি হয়েছে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা হল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, আমরা র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বরাবরই জিরো টলারেন্স। ওই ছাত্রীর বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিষয়টি জেনেছি। উভয় পক্ষের কথা শুনে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © MKProtidin.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com