জাকির হোসেন আজাদী: এবার অমর একুশে বই মেলায় সাড়া ফেলেছে নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় গীতিকার ও কবি মেহেদী হাসানের কাব্যগ্রন্থ “নক্ষত্রের আকাশ”। কবি মেহেদী হাসান আইন পেশার সাথে জড়িত। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল।
কবিতার চোখে ভেসে ওঠে পৃথিবীর রূপ জমে থাকা কথার অনবদ্য নিয়ে। কবির হৃদয় নিংড়ানো ভাষায়
পথ খুঁজে পায় ষোড়শী প্রেম। দিকভ্রান্ত দ্রোহের আগুন নিশানায় ছুঁড়েমারে স্ফুলিংগ। ঝড়ো বাতাস
দিগবিদিক ধাবিত হয়ে মিশে যায় দূর অজানায়। একদিকে ভালোবাসার অমিয় বার্তা অন্যদিকে দ্রোহের ফুলকি, একদিকে বিরহের কান্না
অন্যদিকে কাছে পাওয়ার আনন্দ। এই দ্বিমুখি ভাব প্রকাশের মুন্সিয়ানা দেখা যায় কবিতার বইটিতে। এক অনবদ্য সুরের ঝংকারের ছবি আঁকা
হয়ে আছে পাতায় পাতায়। পাঠক প্রিয় কবির কবিতাগুলো পড়ে হৃদয়ের গভীরে এক ঝংকার ফিরেসপাবেন। এক নতুন অনুভুতির দরজায় কড়া নাড়বে কবিতার কোন একটি লাইন। ভালোবাসা, বিরহ, দ্রোহের এক অপূর্ব সমন্বয়…..
কবি মেহেদী হাসান ১৯৭৯ সালে বরিশালের
চাষারের বলোহর গ্রামে তাঁর নানার বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। শৈশব ওকৈশোর কটেছে তাঁর পৈত্রিক বাড়ি পিরোজপুর জেলা শহরে। তাঁর পিতার
নাম মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং মাতার নাম হাসিনা খাতুন। পিরোজপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি এবং পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে তিনি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগ থেকে এল এল এম ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য সংগঠন স্বনন-এর সাথে যুক্ত হয়ে তিনি আবৃত্তি, কবিতা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ হন। এ সময় তিনি কবিতা লেখায় গভীর মনোনিবেশ করেন। শৈশব থেকে তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং আবৃত্তি, বক্তৃতা, বিতর্ক বিষয়ে জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে
পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি পেশাগত জীবনে বাংলাদেশসুপ্রিম কোর্টের স্বন্মধন্য আইনজীবী এবং সহকারি এ্যটর্নি জেনারেল হিসেবে
কর্মরত রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী তাহারিমা পুতুল রিভা মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষিকা, তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের স্বনামধন্য তালিকাভুক্ত শিল্পী। তাঁদের একমাত্র সন্তান আরশ হাসান ১ম শ্রেণিতে অধ্যয়ণরত।
আমি কবি মেহেদী হাসানের কাব্য গ্রন্থ নক্ষত্রের আকাশের ব্যাপক প্রচার কামনা করছি। সেই সাথে এই প্রতিশ্রুতিশীল কবির জন্য শুভকামনা করছি।