সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস ও শিশু হাসপাতালের আয়োজনে এবং জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. সবিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, “আজ সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলায় শিশুদের জন্য জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের শিশুকে নিকটস্থ ইপিআই ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সের শিশুকে নীল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আর ১২-৫৯ মাস বয়সের শিশুকে লাল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ; ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন ‘এ’র অভবে রাতকানা, কনজাঙ্কাটিভার স্পট (চোখে স্থায়ী সাদা দাগ), চোখের শুষ্কতা, বিটট স্পট, কর্নিয়া শুষ্কতা, কর্নিয়ার শিরা শুকিয়ে যাওয়া, কর্নিয়ায় স্থায়ী দাগসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। শিশুদের এসব সমস্যা থেকে নিরাপদে রাখতে জন্মের পর মায়ের বুকের শাল দুধ সহ ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। পাশপাশি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়াতে হবে। তাছাড়া ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের শিশুকে নিকটস্থ ইপিআই ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এই ক্যাপসুলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। এছাড়া সকল ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ, হামজনিত মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ এবং ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুহার ৩০ শতাংশ কমায়। ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি।”