প্রতিনিধি ঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন।
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে দৃষ্টিহীন তালিমুল কোরআন, হাফেজ, প্রতিবন্ধী ছাত্রদের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।
সামাজিক সেবামূলক সংগঠন পিতৃ-মাতৃছায়া ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে গত ২৭/০৩/২০২৩ ইং রোজ সোমবার কামরাঙ্গীরচরের খলিফাঘাট নামক স্থানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজদের মাদ্রাসায় ইফতার আয়োজন করা হয় এসময় উপস্থিত ছিলেন পিতৃ-মাতৃছায়া ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ তাওহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
এলাকাবাসী জানান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজদের এই মাদ্রাসাটি অন্যের সহায়তায় পরিচালনা করা হয় এখানে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হুজুর হাফেজ কারী মাহফুজুর রহমান, বলেন ২৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৫ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও বাকিরা এতিম দরিদ্র ছাত্র এদের কারো মা নেই কারো বাবা নেই। তালিমূল কোরআন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বডিং টি ২০১৬ সাল থেকে এলাকাবাসীর সহায়তায় পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওই ব্যক্তিকে সবচেয়ে বড় দানশীল হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। যিনি পবিত্র কুরআন-সুন্নাহর এলেম অন্যদের শিক্ষা দেন। মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা রাস্তাঘাট ইত্যাদিতে দান করলে অনেক বেশি মানুষ উপকৃত হয় এবং সওয়াব দীর্ঘস্থায়ী হয়। বুখারি শরিফে এসেছে-হজরত আবু হুরায়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে পাক (সা.) ইরশাদ করেন, যখন কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে, তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি আমলের সওয়াব কেয়ামত পর্যন্ত জারি থাকে- সদকায়ে জারিয়া, উপকারী জ্ঞান, ভালো সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে।
আল্লাহ তা’আলা কোরআনে উল্লেখ করেছেন, “যারা আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয় করে তার উদাহরণ হচ্ছে সেই বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। আর প্রতিটি শীষে একশতটি করে দানা থাকে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অতিরিক্ত দান করেন”। (সূরা আল-বাকারাঃ ২৬১) অত্র মাদ্রাসাটি পরিচালনায় এলাকাবাসীর সহায়তার পাশাপাশি সরকারে সহায়তা চান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাদ্রাসার হাফেজ ছাত্ররা।