জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রায় দুই সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
এর আগে সোমবার (৮ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৬টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশের পথে রওনা হন তিনি।
গত ২৫ এপ্রিল জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডন সফরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা গত ২৫ থেকে ২৮ এপিল জাপান সফর করেন।
টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সফরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
এ বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করেন।
ফুমিও কিশিদা ও শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেন।
বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের আমন্ত্রণে গত ২৮ এপ্রিল জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওয়াশিংটন সফরকালে বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বিশ্ব ব্যাংক সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের উপস্থিতিতে ৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি চুক্তি সই করে বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংক।
এ চুক্তির আওতায় আঞ্চলিক বাণিজ্য ও কানেক্টিভিটি, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাংক।
ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে তার সিংহাসনে আরোহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ৪ মে রাতে ওয়াশিংটন থেকে লন্ডন আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লন্ডন সফরের দ্বিতীয় দিন ৫ মে স্থানীয় সময় বিকেলে বাকিংহাম প্যালেসে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের সম্মানে ব্রিটেনের নতুন রাজা ও রানির সিংহাসনে আরোহণপূর্ব সংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকিংহাম প্যালেসে সিংহাসন আরোহণপূর্ব এ সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস।
একই দিন স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে লন্ডনের পলমলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউসে ‘কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে’ যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মার্লবোরো হাউসের ডেলিগেটস লাউঞ্জে শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে কমনওয়েলথ প্রধান ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
কমনওয়েলথ নেতাদের এ অনুষ্ঠানে যোগদানের পাশাপাশি মার্লবোরো হাউসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
পরের দিন ৬ মে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে ব্রিটেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।