৯ ই জুন বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস হিসাবে পালন করা হয়।মূলত “অ্যাক্রেডিটেশন” বলতে বুঝায়- পরীক্ষণ, পরিদর্শন ও সার্টিফিকেশন কার্যক্রমের তৃতীয় পক্ষের মূল্যায়ন দিয়ে স্বাভাবিকতা নিরূপণ করা। আমরা অনেকেই আবার অ্যাক্রেডিটেশন দিবস সম্পর্কে অবগত নই। বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং পরিবেশ রক্ষা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের অত্যাবশ্যকীয় পূর্বশর্ত।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি, ভারসাম্যহীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমাজে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য ও অসমতা বৃদ্ধি করে। ফলে বিশ্ব বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ রক্ষা করে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক। এটি একটি সম্মিলিত প্রয়াস। এ লক্ষ্যে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। স্বাধীন চিন্তাশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে অ্যাক্রেডিটেশন সাদৃশ্য মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা, সাদৃশ্য সক্ষমতা ও সামঞ্জস্য নিশ্চিত করতে হবে । ফলে পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভোক্তার আস্থা অর্জন সম্ভব হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উন্নয়ন কর্মসূচিতে অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করে উন্নয়ন-সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএমএস”রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সিসি”জার্নালিজম,এলএলবি।