মোতালেব বিশ্বাস, ইবি প্রতিনিধি।।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাসের দাবিতে আন্দোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সপ্তাহের সোমবার অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হয়। এই দিন বিকেল ৪ টায় ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য বাস বরাদ্দ নেই। তাই শিক্ষার্থীরা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাসে যাতায়াত করেন। তবে কর্মকর্তা -কর্মকর্তাদের বাসে জায়গা হয়না শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও কর্মকর্তাদের বাসে উঠতে না দেওয়ার অভিযোগও আছেছে।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ড. আরিফুল ইসলাম।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এসময় পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ড. আরিফুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। পরিবহন প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সাথে তুই তোকারি করে কথা বলে এবং ড. আরিফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মেহেদি রাফিকে বলেন, তুই থাকোছ হলে। তোর এখানে সমস্যা কী? রাফি বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে সমর্থন করি।
এ বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মেহেদি রাফি বলেন, সোমবার বাসের সিডিউল থাকা স্বত্বেও অল্প বাস দেওয়াতে আমরা বিপাকে পরি। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে অশোভন আচরণের স্বীকার হই।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের টিউশনসহ শহরে অনেক প্রয়োজনীয় কাজ থাকে। তবে আমরা বাসের অভাবে ভোগান্তিতে পোহাচ্ছি। এছাড়াও অনেক সময় লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ফটক আটকানোর পর শিক্ষার্থীদের বললাম যে বাস আসতেছে। তোমরা আপাতত গাড়িগুলো ছেড়ে দাও। কিন্তু ওরা সেটা রাজি হচ্ছিলো না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, কুষ্টিয়াতে দুইটি গাড়ি যায় এবং ঝিনাইদহে একটি গাড়ি যায়। তবে ঝিনাইদহে আরেকটি বাড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীরা ফটক আটকে দেয়।