হাফিজুর রহমান শিমুলঃ জাতীয় শিক্ষা পদক ২০১৭ সালে সাতক্ষীরা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ায় বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ পেলেন কালিগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক এস এম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছুর স্ত্রী মিসেস শাহীনা আখতার। তিনি আগামি পহেলা জুলাই রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে ঢাকা আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে চীন দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা এ প্রতিনিধিকে বলেন, উপজেলার তারালী গ্রামে ১৯৭৮ সালের ৫ই ডিসেম্বর সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্মগ্রহন করি। তিনি ঐ গ্রামের মরহুম মোহর আলী মোক্তারের ছোট কন্যা। ছোট বেলা থেকে লেখাপড়ার প্রতি অতি আগ্রহ ছিল। ১৯৯৪ সালে তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে (এসএসসি) প্রথম বিভাগ, ১৯৯৬ সালে উপজেলা সদরের অন্যতম নারী শিক্ষা বিদ্যাপীঠ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ থেকে (এইচএসসি) প্রথম বিভাগ এবং ১৯৯৮ সালে কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ (বর্তমানে সরকারি কলেজ) থেকে ছাত্রীদের মধ্যে (বিএ) প্রথম বিভাগ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করি। পরবর্তীতে খুলনা বিএল কলেজ থেকে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাষ্টার্স পাশ করি। আমার কর্মজীবন শুরু হয় ২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময়। ঐ বছরের ২৩ এপ্রিল উপজেলার পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করি। চাকুরীর কিছু দিন যেতে না যেতেই ডাক আসে জেলা (প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট) পিটিআইতে। সেখানেও অত্যান্ত সুনামের সাথে প্রথম স্থান অর্জন করি। পিটিআই থেকে ফিরে এসে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবর্তনশীল ধারাবাহিকতায় নিজেকে সক্রিয় রেখে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দসহ উপজেলা শিক্ষা কর্মকতার্দের অত্যন্ত আস্থাভজন হয়ে উঠি। দীর্ঘ কয়েক বছর পারুলগাছায় সুনামের সাথে শিক্ষকতার পর প্রাথমিক শিক্ষার দীপ্তি হিসাবে ২০১০ সালের শেষে দিকে উপজেলার ছনকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (নতুন কর্মস্থল) যোগদান করি। কর্মক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে সবরকম সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত আসতে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে ২০১৭ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা। পরবতীতে সাতক্ষীরা জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নিবার্চিত হই। জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় মর্ডান স্কুল ম্যানেজমেন্টের উপর সরকারি ভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। সংসারিক জীবনে তিনি শারাফাত ইমতিয়াজ প্রিন্স নামের এক ছেলে সন্তানের জননী। সে বর্তমানে দেশের অন্যতম সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করছে। ছেলেকে মানুষের মত মানুষ তৈরী করার পাশাপাশি জীবন বাকি টুকু সময় শিশুদের শিক্ষাদানের মধ্যদিয়েই কাটাতে চান এই শিক্ষিকা। তবে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর প্রত্যাশা বাস্তবায়নে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। আগামি ১ জুলাই বিদেশ যাত্রা সফলের জ্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা শাহীনা।