মোঃ রবিউল পাটোয়ারী, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১(রামগঞ্জ) আসনের মোট নয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাচাই-বাছাই শেষে চারজনের মনোনয়নপত্র বৈধ, চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও একজনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও রামগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি ড. আনোয়ার হোসেন খানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (০৩ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও এ আসনে আরো তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জেলা কমিটির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিয়াজ মাখমুদ ফারুকী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এমএ গোফরান।
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও একজনের স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেন, পূর্ণ বয়স না হওয়ায় তরিকত ফেডারেশনের মো. শাহজালাল এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশারফ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ঋণখেলাপির অভিযোগ থাকায় এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব আউয়ালের মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান মনোনয়ন বাছাই কার্যক্রমের সভায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী আউয়ালের ঋণখেলাপি রয়েছে। তবে তার প্রতিনিধি জানিয়েছেন ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধের সত্যতা দিতে না পারলে তার মনোনয়ন বাতিল করা হবে। এছাড়া হাবিবুর রহমান পবনের দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে ১০ জনকে যাচাই করতে গেলে একজনকে মৃত পাওয়া যায়। এছাড়া দুজনের ভোটার নম্বর ভুল থাকায় তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এতে পবনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অন্য প্রার্থী মোশারফ ঋণখেলাপির দায়ে, পূর্ণ বয়স না হওয়ায় শাহজালাল ও ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।